দেশে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগই শুরু করেছিল উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তারা রক্ষীবাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, ঢাকা বিভাগের সমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা ঘোষণা দিয়েছিলাম। যার মূল কথা ছিল এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল।
এ দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। এ দেশের মানুষ যাতে নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্নভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। সত্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। এরা গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে দিনের ভোট রাতে করে, গায়ের জোরে। এ দেশের রাষ্ট্রকাঠামো একটি একটি করে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। সে সময় তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে, বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। এই দেশে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে তারা লুটপাটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা করেছিল। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল তাদের আমলে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধন পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর নেতারা। বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনটি আয়োজিত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ