বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বে ৮ শিশু ও তরুণীর মধ্যে একজন ধর্ষণ-যৌনহয়রানির শিকার এটিএম থেকে বিকাশে রেমিটেন্স ক্যাশ আউট ৭ টাকায় বগুড়ায় বিলের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো জামায়াত মমতাজসহ ৯০ জনের নামে হত্যা মামলা একসঙ্গে ৫ নারী বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন ইতিহাস সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাং নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো আগে বাস্তবায়ন করতে হবে: সালাহউদ্দিন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র কারাগারে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫০ বাংলাদেশি রাশিয়ায় এবার বিমানঘাঁটিতে হামলা, এখনো জ্বলছে তেল টার্মিনালের আগুন ২৪ ঘণ্টায় সাবের হোসেন কীভাবে মুক্তি পেলেন: প্রশ্ন রিজভীর রাজনগরে ২৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার, আটক ১ হারুনের দেশত্যাগ নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নামে মাহমুদুর রহমানের মামলা ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম কিছুটা কমেছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক মাদরাসার ভেতরে, ১৪ শিক্ষার্থী আহত দুই কোটির ব্যবসায় ১৫১ কোটি টাকা ঋণ, এস আলমের মাসুদের ঘাড়ে দায় গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহ সদস্যকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অস্ত্র হাতে ফেসবুক লাইভে, ক্যাম্পে ৪ খুনের বর্ণনা রোহিঙ্গা তরুণের

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার মাঝি খুনের ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন মোহাম্মদ হাশিম (২২) নামে এক রোহিঙ্গা তরুণ। অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে ফেসবুক লাইভে খুনের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মো. আব্দুল্লাহ নামে ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন তিনি।

মোহাম্মদ হাশিম মিয়ানমার বুচিডং কুয়ানচিবংয়ের পূর্বপাড়ার আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি বর্তমানে উখিয়ার বালুখালি ৯৩ ব্লকের ক্যাম্প-১৮ তে বাস করছেন বলে জানিয়েছেন। রোহিঙ্গা ওই যুবক ‘ইসলামী মাহাজ’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলেও দাবি করেছেন তিনি।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিদেশি পিস্তল হাতে নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝির মধ্যে কাকে কীভাবে হত্যা করা হয় তার বর্ণনা দিচ্ছেন হাশিম।

এই রোহিঙ্গা তরুণ দাবি বলেন, তার মতো আরও ২৫ জনকে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। যার জন্য তাদের দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। এক মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ভিডিওতে মোহাম্মদ হাশিম বলেন, হেড মাঝি আজিম উদ্দিন, হেড মাঝি সানা উল্লাহ, হেড মাঝি জাফর ও ক্যাম্প-১৭ এর ইসমাইলকে তারা হত্যা করেছেন।

একইভাবে ভিডিওতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজের ছয় মুখপাত্রের নামও উল্লেখ করেন তিনি। যাদের নাম বলা হয়েছে তারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া, মৌলভী রফিক, কাদের ও খায়রু। এই ছয়জন সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন বলে এই রোহিঙ্গা যুবক উল্লেখ করেন।

সামনে তাদের আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই এই খারাপ জগত ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান বলে দাবি করেন। মোহাম্মদ হাশিমের ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

এ বিষয়ে ক্যাম্পে কর্মরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা তরুণের ভিডিও বার্তা আমাদের নজরে এসেছে। ঘটনাটি আমরা যাচাই-বাচাই করছি। পাশাপাশি তার পরিচয় শনাক্ত করে ভিডিওতে দেখানো অস্ত্রসহ তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, সে যাদের নাম উল্লেখ করেছে সেটিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com