আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে ছয় হাজারেরও অধিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর আজই প্রথম বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনে একজনের মৃত্যু হয়েছে সে দেশে। মৃত ব্যক্তির বয়স আশির কোঠায়। তবে তিনি পুরোপুরি টিকাপ্রাপ্ত ছিলেন। তিনি পশ্চিম সিডনির একটি বয়স্ক সেবা কেন্দ্রে মারা যান।
আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলসে মোট ৬৩২৪ জন করোনা আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ৫২৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় এবং তাঁদের মধ্যে ৫৫ জন আছেন নিবিড় পরিচর্যায়।
সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলসে নতুন ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বার এবং রেস্তোরাঁয় প্রতি ২ বর্গমিটার (২২ বর্গফুট) এক ব্যক্তি বসতে বা পানাহার করতে পারবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্র্যাড হ্যাজার্ড বলেন, প্রাদেশিক সরকার কর্মিস্বল্পতার কারণে কভিড-১৯-এর সংস্পর্শে আসার পরে স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসোলেটেড করার প্রয়োজনীয়তা তুলে নেওয়ার কথা ভাবছে।
সোমবার ভিক্টোরিয়া প্রদেশে ১৯৯৯ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। সেই সঙ্গে তিনটি মৃত্যুও। প্রদেশে কভিড-১৯ রেসপন্স কমান্ডার জেরোয়েন ওয়েইমার বলেন, ভিক্টোরিয়া এর বিস্তার আরো ভালোভাবে বোঝার জন্য ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের জিনোম পরীক্ষায় নেমেছে।
এদিকে, সিডনির একটি পরীক্ষাগার রবিবার বলেছে, ৪০০ জন লোক যারা কভিড নেগেটিভ হয়েছিল, পরে জানা যায় বাস্তবে তারা পজিটিভ। আরো প্রায় ১০০০ জনের ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে। সিডনির সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালের সিডপাথ বলছে, ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষা করা ৯৯৫ জনের আগেই নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে।
প্যাথলজি পরিষেবা সোমবার এক বিবৃতিতে বলে, আসলে তাদের প্রকৃত ফলাফল এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বলা হয়েছে, তারা সোমবার রাতের মধ্যে সঠিক ফলাফল পাবেন। আমরা এ ত্রুটির জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সূত্র : ডেইলি হেরাল্ড
বাংলা৭১নিউজ/এবি