বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাশ্মীর সফরকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হল সম্পূর্ণ উপত্যকা। আজ শনিবার অশান্ত কাশ্মীরে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন শের-ই-কাশ্মীর ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন তিনি।
একই সঙ্গে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিতে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মোদি। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে পাকিস্তান। তাদেরেএই প্রতিবাদে মোটেও কান দেয়নি ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরকালে যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তাই সজাগ কাশ্মীরে ভারতীয় অংশের নিরাপত্তারক্ষীরা।
নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে একাধিক রাস্তা। বিশেষ বিশেষ রাস্তায় চলছে নাকাতল্লাশি। সবদিকে নজর রাখছেন কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ জওয়ানরা। প্রধানমন্ত্রীর সফরের কারণে কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরের বিভিন্নস্থানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। কোনও জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে কিনা তারই খোঁজে চলছিল তল্লাশি।
জানা গেছে, কাশ্মীরে পৌঁছে প্রথমেই বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কুশোক বাকুলা রিনপোচের ১৯তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে ৩৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কিষণগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধনে। এরপরে তিনি যোগ দেবেন শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন, কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি ও জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
রমজানের শুভ মুহূর্তে গতকালই সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে উছে উভয় পক্ষের গুলাগুলিতে।জম্মু-কাশ্মীরের আর্নিয়া সেক্টরে পাকিস্তানের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন এক ভারতীয় জওয়ান। ওপার থেকে আসা গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন আরও এক জওয়ান ও দুই নাগরিক।
ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বান্দিপোরা সেক্টরে টহলদারি চালাচ্ছিলেন ১৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানরা। তখনই তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। এরপরেই পালটা উত্তর দেয় ভারতীয় জওয়ানরা। এছাড়া, গতকাল আরএস পুরা সেক্টরেও সংঘর্ঘবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালায় পাক রেঞ্জাররা। সেখানেই গুরুতর জখম হন দুই নাগরিক।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:এএনআই/বিকে