রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

অরিত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রতিবেদন ১১ ফেব্রুয়ারি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ১৬১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দিন পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।
মামলাটির তিনজন আসামির মধ্যে অরিত্রীর শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনা জামিনে রয়েছেন। তিনি গত ৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে চারদিন কারাভোগের পর ৯ ডিসেম্বর জামিন পান। অপর দুই আসামি সে সময়কার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা এখনো গ্রেপ্তার হননি।

অরিত্রী অধিকারীর বাবা দিলীপ অধিকারীর করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, তার মেয়ে ভিকারুনসিনার নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। আসামি হাসনা হেনা তার শ্রেণিশিক্ষক। গত ২ ডিসেম্বর পরীক্ষার সময় বাসায় ব্যবহৃত একটি মোবাইল অরিত্রী স্কুলে নিয়ে যায়। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষিকা আফসানা মোবাইল পেয়ে নিয়ে নেন এবং পরদিন বাবা-মাকে নিয়ে আসতে বলেন। পরীক্ষা শেষে ভিকটিম বাসায় এসে বিস্তারিত বর্ণনা জানালে পরদিন তাকে নিয়ে বাবা-মা সকাল ১১টায় স্কুলে যান।

স্কুলে গিয়ে প্রথমে শ্রেণিশিক্ষক আসামি হাসনা হেনার কাছে গেলে তিনি তাদের অনেক সময় বসিয়ে রাখেন ও পরে আসামি সহকারী প্রধান শিক্ষক ও শাখাপ্রধান জিন্নাত আরার কাছে নিয়ে যান। সেখানে জিন্নাত আরা তাদের দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং বাদীর মেয়েকে টিসি দেবেন বলে হুমকি দেন। তখন তারা অরিত্রীকে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসামি নাজনীন ফেরদৌসের রুমে গিয়ে দেখা করেন। ওই সময় অরিত্রী তার পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করে। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাদী ও তার স্ত্রীও ক্ষমা চান। কিন্তু আসামি কোনো কর্ণপাত করেননি।

একটু পরে লক্ষ্য করেন, মেয়ে অরিত্রী রুমে নেই। বাদী ও তার স্ত্রী বাইরে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাসায় এসে  মেয়েকে রুমে দেখতে পান। এরপর বাদী কাজে চলে যান। কিছু সময় পর বাদীর স্ত্রী মোবাইলে জানান, অরিত্রীর রুম বন্ধ, খুলছে না এবং সাড়া শব্দও পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বাসার কেয়াটেকার শুকদেব বাথরুমের ভেন্টিলিটার দিয়ে রুমে প্রবেশ করে অরিত্রীকে ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে দেখতে পেয়ে রুম খুলে দেন। বাদীর স্ত্রীসহ আশপাশের লোকজন ধরাধরি করে নিচে নামিয়ে বেলা ৩টার দিকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা অরিত্রীকে মৃত্যুবলে ঘোষণা করেন।

ওই ঘটনায় বাদীর স্পষ্ট ধারণা যে, স্কুলের উল্লেখিত শিক্ষকদের নির্মম আচরণে মর্মাহত হয়ে অরিত্রী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।

বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com