বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের ৪শ’ ৮৫ মিটার কাচা রাস্তা পূণঃনির্মান প্রকল্পর কাজ বন্ধ থাকার পর অবশেষে মজুর দিয়ে সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি। কাজের প্রাক্কালে প্রকল্প অতিরিক্ত সীমানায় একই রাস্তায় বেকু দিয়ে মাটি কর্তন নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস বসু রাস্তাটি পূণঃনির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। পরে মজুর দিয়েই রাস্তা পূনঃনির্মান কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে দাবী প্রকল্প বাস্তবায়ন কিমিটর।
এ ব্যপারে মঙ্গলবার চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান বলেন, “ উক্ত গ্রামের কাবিটা প্রকল্পটি ছিল ৪শ’ ৮৫ মিটার রাস্তা পূণঃনির্মান। কিন্ত জনস্বার্থে প্রকল্প অতিরিক্ত রাস্তায় মাত্র একদিন বেকু লাগানো হয়েছিল, প্রশাসনিক চাপে তাও বন্ধ করে দিয়েছি”। আর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানস বসু বলেন, “প্রকল্প অতিরিক্ত রাস্তায় হউক আর যাই হউক, কাজ চলাকালে বেকু লাগানোর খবর শুনামাত্র আমরা তরিৎ গতিতে বেকুটি অপসারন করেছি এবং পরে লেবার দিয়ে প্রকল্প কাজ করা হয়েছে”।
জানা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব দিকে পদ্মা নদীর তীরবর্তি এলাকায় মাথাভাঙ্গা গ্রামের কাচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জনচলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর ওই গ্রামের ঘনবসতি এলাকার ৪শ’ ৮৫ মিটার কাচা রাস্তা পূনঃনির্মানের উপর একটি কাবিটা (কাজের বিনিময় টাকা) প্রকল্প দেন। এ প্রকল্প ব্যয় নির্ধারন করা হয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের ০১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ঝর্ণা বেগমকে সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম মৃধাকে সেক্রেটারী করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কিমিটি তৈরী করা হয়। গত ক’দিন আগে কাজ শুরু করলে বেকু দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগে প্রকল্পটি বন্ধ রাখেন উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন সভাপতি ঝর্ণা বেগম বলেন, “ চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল গ্রামবাসীর জন্য পুরো রাস্তাটি পূনঃনির্মান করবেন। প্রকল্প রাস্তা মাত্র ৪শ’ ৮৫ মিটার অর্থাৎ অর্ধ কি.মি. কম। তাই প্রকল্পর অতিরিক্ত রাস্তায় একদিন বেকু লাগানো হয়েছিল, তাও প্রশাসন করতে দেন নাই”। মঙ্গলবার নির্মানাধীন রাস্তা ঘেষে অনেক বসতির মধ্যে একজন মোতালেব মোল্যা (৬২) জানায়, বেকু লাগানো হয়েছিল এ ঘনবসতি এলাকা ছেড়ে অনেক দুরের পদ্মা নদীর পাড় এলাকায়, তার কারনে আমাগো রাস্তা নির্মান বন্ধ রাখাটাই অবিচার”।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস