বাংলা৭১নিউজ, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ উপজেলায় ধারশুনগ্রামের প্রাবাসী এর অপহৃত মেয়ে তানিয়া সুলতানা (১৯) কে গত (৯ জুলাই) রোববার রাতে প্রায় ১ মাস পর উদ্ধারসহ মামলার মূল আসামি জুয়েল প্রামানিক (২৫) কে আটক করেছে।
থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ধারশুনগ্রামের দুবাই প্রাবাসী হামিদুল ইসলাম এর মেয়ে তানিয়া সুলতানা (১৯) প্রায় ১ বছর পূর্বে কাবিলনামা মূলে বিবাহ হলেও সে তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিল। একই এলাকার কয়েকজন যুবক বিভিন্ন সময় তানিয়া সুলতানা কে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করা সহ বিভিন্ন বিরক্ত করতো। বিষয়টি তানিয়া তার মা খাদিজা বেগম কে অবগত করে।
তার মা খাদিজা বেগম যুবকদের নিষেধ করলে তারা মেয়ের ক্ষতি সহ অপহরণের হুমকি দেয়। ঘটনার দিন গত (৯ জুন) শুক্রবার সকালে তানিয়া সুলতানা পার্শ্ববর্তী চৌমুহনী বাজারে ঔষুধ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বগুড়া-নওগাঁ মহা সড়কে পৌছিলে আসামিরা সিএনজি দিয়ে তার পথরোধ করে। এক পর্যায় জোর পূর্বক অপহরণ করে সিএনজিতে তুলে পালিয়ে যায়।
দীর্ঘ সময় তানিয়া সুলতানা বাড়িতে ফিরে না আসলে তার মা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। এক পর্যায় অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। স্থানীয় ভাবে মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে গত (১২ জুন) সোমবার দিবাগত রাতে মা খাদিজা বেগম নিজেই বাদি হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে একে অপরের সহায়তায় অপহরণ করার অভিযোগে থানায় মামলা করে। পুলিশ মামলা গ্রহণ করেই এজাহারভুক্ত আসামি উক্ত ধারশুনগ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে হারুন-অর-রশিদ কে আটক করে।
এ দিকে মোবাইল নম্বর ট্রাকিং করে দীর্ঘ ১ মাস পর অপহৃতা তানিয়া সুলতানা কে টাঙ্গাইলের ভুঁয়াপুর পল্লী এলাকার তারই বান্ধবীর বাসা থেকে উদ্ধার করে। ওই রাতেই পুলিশ মামলার প্রধান আসামি ধারশুন গ্রামের মৃত সামছুদ্দিন প্রামানিকের পুত্র জুয়েল প্রামানিক কে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক অপহৃতা কে উদ্ধারসহ মামলার প্রধান আসামি কে গ্রেফতারের বিষয়টি “বাংলানিউজ৭১” কে নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ অপহৃতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল হাসপাতালে ও গ্রেফতারকৃত জুয়েল প্রামানিক কে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস