বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক : সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ঘুম ঠিকমতো হচ্ছে না। রাতের পর রাত চলে যাচ্ছে নির্ঘুম। এখনই সাবধান হোন। বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে এই অনিদ্রা। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এই ঘুমহীনতা।
শরীরের নাম যতই হোক মহাশয়, অবাধ্য লাইফস্টাইলে শরীরের দফারফা হবেই। আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তো মারাত্মক বিপদ। কম ঘুম মানেই উদ্বেগ, ডিপ্রেশন, অল্পে বিরক্তি, খিটখিটে স্বভাব, মোটিভেশনের অভাব, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার অভাব, মনোযোগের অভাব, পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করার প্রবণতা বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের দাবি, ঘুমের মধ্যেই ঘটে যাবে হার্ট অ্যাটাক। সুস্থ থাকতে খেলাধুলা, শরীরচর্চা কিছুই কাজে লাগবে না। যতই খান পুষ্টিকর খাবার, যতই ওজন রাখুন আয়ত্তে, সাত ঘণ্টার কম ঘুম মানেই মৃত্যুকে হাতছানি দিয়ে ডাকা।
আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের ঘুম বিশেষজ্ঞদের দাবি, তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ছয় থেকে ১৩ বছর বয়সীদের রাতে অন্তত ৯-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। টিনএজার অর্থাৎ ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ঘুমোতে হবে আট থেকে ১০ ঘণ্টা। প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ অর্থাত্ ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের ঘুম প্রয়োজন সাত থেকে নয় ঘণ্টা। ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের ঘুমোতে হবে সাত থেকে নয় ঘণ্টা। ৬৫ বা তার বেশি বয়সীদের নিউরনের একটি অংশ নষ্ট হতে থাকে। ফলে ঘুম কমে যায়। কিন্তু ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে।
পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমোলে ব্লাড প্রেশার বাড়বে ৩৫০ থেকে ৫০০ শতাংশ। হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ৩৯ শতাংশ। সারাদিন শরীর থাকবে ক্লান্ত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকবে। ছয় ঘণ্টার কম ঘুমোলে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে আট শতাংশ। সাত ঘণ্টা তে ঘুমোতেই হবে।
তবে নানা কারণে যদি ঘুম না আসে, তাহলে উপায়? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘুমের নির্ধারিত সময় মেনে চলতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বেডরুমের তাপমাত্রা, আলো এবং শব্দ হতে হবে ঘুমের আদর্শ। বিছানা ও বালিশ হতে হবে আরামদায়ক। বর্জন করতে হবে অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেডরুমে সব বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বন্ধ করে দিতে হবে। তাহলেই ঘুম আসবে নিশ্চিন্তে।
বাংলা৭১নিউজ/এন