রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

অনাচারমুক্ত সমাজ গঠনে ইসলাম

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে
Holy koran

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: সামাজিক অনাচার বা সমস্যা সমাজের মারাত্মক ব্যাধিস্বরূপ। সুদ, ঘুষ, ব্যভিচার, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, মাদকাসক্তি, প্রতারণা, হত্যা-গুম প্রভৃতি সমাজে নানা সমস্যার জন্ম দেয়। এগুলো সমাজ বিকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। শান্তি-শৃঙ্খলা, সংহতি ও নিরাপত্তা নষ্ট করে। মূলত যেসব কর্মকা- ইসলামি শরিয়তে নিষিদ্ধ এবং মানুষের চোখে ও সামাজিক দৃষ্টিতে মারাত্মক অন্যায় সেগুলোই সামাজিক অনাচার বা সমস্যা।

সামাজিক অনাচার ও সমস্যার সমাধানে ইসলাম সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। যেমন সামাজিক অনাচারের অন্যতম জুয়াকে ইসলামে ঘৃণ্য কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মিথ্যাচারকে মুনাফিকের লক্ষণ বলা হয়েছে। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা মিথ্যাচার পরিহার কর, কেননা মিথ্যা পাপের দিকে নিয়ে যায়, আর পাপ নিয়ে যায় জাহান্নামের দিকে।’ প্রতারণাকারীকে জাহান্নামি বলা হয়েছে। হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি ক্রেতাকে অবহিত না করে (গোপন রেখে) দোষযুক্ত পণ্য বিক্রি করে সে অবিরাম আল্লাহর ঘৃণা ও ফেরেশতাদের অভিশাপে পতিত থাকবে।’ ঘুষ দাতা ও গ্রহীতার ওপর আল্লাহ ও রাসুলের (সা.) অভিশাপ রয়েছে। ধূমপানকে ইসলাম হারাম করেছে। মাদকাসক্তিকে ইসলামে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মাদকাসক্ত ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করে সৎসঙ্গ গ্রহণের তাগিদ করা হয়েছে ইসলামে। চুরি করলে হাত কেটে ফেলার শাস্তি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ছিনতাই, রাহাজানি, মানুষকে ঠকানো এ ধরনের যাবতীয় অনাচারকে ইসলামে নিষিদ্ধ ও হারাম করা হয়েছে। নরহত্যাকে ইসলামে মহাপাপ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে, একজনকে হত্যা করা মানে সারা দুনিয়ার সব মানুষকে হত্যা করা।

ইসলাম অন্যায় ও অনাচারমূলক কাজ থেকে শুধু নিষিদ্ধই করেনি, কিভাবে পাপমুক্ত জীবন গড়তে হবে এর সুস্পষ্ট নীতিমালাও বর্ণনা করেছে। সামাজিক অন্যায় ও অসততার বীজগুলো যেন অঙ্গুরেই বিনাশ হয়ে যায় সে ব্যবস্থাপত্র ইসলামে দিয়েছে। নিছক বর্ণনা ও ব্যাখ্যা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নয় ইসলামের নীতিমালা, প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এর উদাহরণও ইসলাম স্থাপন করেছে। ইসলামি সমাজব্যবস্থায় অন্যায়-অনাচার মূলোৎপাটনের যাবতীয় নির্দেশনা রয়েছে। সমস্যাসঙ্কুল সমাজের স্থিতিশীলতা ও গতিময়তা ফিরিয়ে আনার জন্য ইসলামের কোনো বিকল্প নেই। ইসলামি অনুশাসনই পারে সমাজকে কাক্সিক্ষত মানে উন্নতি করতে এবং মানুষের বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com