সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

ভোটের সময় ‘ছোট মন্ত্রিসভা’ নাও হতে পারে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮
  • ৪১১ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি।

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আর কয়েকমাস পরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে নিজের ভাবনা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এবারের নির্বাচনকালীন সরকারের আকার কমানো নাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

সোমবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সৌদি আরব সফরের বিষয় জানাতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইঙ্গিত দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট করা হলে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আর তাছাড়া বর্তমান সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের মন্ত্রী আছে।মন্ত্রীসভা ছোট করে নির্বাচনকালীন সরকার এবার কখন হবে এবং তার ধরন কেমন হবে? দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট না করলে কোনো অসুবিধা আছে কি না।

প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, যুক্তরাজ্যের মত যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে, কোথাও নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয় না।দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা কেন পুনর্গঠন করা হয়েছিল, সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় বিরোধী দলে থাকা বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি হচ্ছিল না বলে তখন তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যে মন্ত্রণালয় চায়, সেই মন্ত্রণালয় দেয়া হবে বলেছিলাম। তারা যখন আসেনি, তখন বিভিন্ন দলগুলো নিয়ে ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা (দশম সংসদ নির্বাচনে) মেজরিটি পাওয়া স্বত্ত্বেও প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো থেকে মন্ত্রিসভা গঠন করেছি। এই মন্ত্রিসভায় জনগণের প্রতিনিধি যারা, তারা আছেন। যেহেতু সব দলের প্রতিনিধি আছে, জানি না এটাকে ছোট করার দরকার আছে কিনা। কাটছাঁট করা হবে কিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভা ছোট করা হলে একজনকে কয়েকটা মন্ত্রণালয় চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনো কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দুই তিন মাসের জন্য থমকে যেতে পারে। এ বিষয়গুলোও ভাবতে হবে।এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা ও ১১ কর্মসূচি নিয়েও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি ও লক্ষ্য নিয়ে বসতে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া হবে বলে জানা গেছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি বা আলোচনায় বসবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও কারও কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি, আগে পাই তারপর দেখা যাবে।

এ সময় তিনি বলেন, ড. কামাল কাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন সেটা আগে দেখতে হবে। যারা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত, যারা এতিমের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত, যারা দণ্ডপ্রাপ্ত এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ড. কামাল।

যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, যারা আগুন দিয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারাই এই গ্রুপে রয়েছে। এরা সবাই এক হয়েছে তাদের রাজনীতিটা কোথায়? প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ড. কামাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির দায়ে যারা অভিযুক্ত হয়েছেন তাদের সঙ্গে নিয়ে এক হয়েছেন ড. কামাল। তিনি তো সংবিধান প্রণেতা, সংবিধান তৈরি করেছেন। তিনিই তো ৭২ এর সংবিধান মানেন না।

তিনি বলেন, আমি ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি, কাজ করছি, সারাজীবন কাজ করে যাব। বাংলাদেশের জনগণ যদি চাই তাহলে আবারও ক্ষমতায় আসব এবং জনগণ না চাইলে ক্ষমতায় আসব না। জনগণ যা চাইবে তাই হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি বাদশাহকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন এবং অদূর ভবিষ্যতে তিনি বাংলাদেশে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সৌদি বাদশাহ। এছাড়া তিনি আমাকে হাফ সৌদি বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশে বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে মোট পাঁচটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।এই সফর বাংলাদেশের স্বার্থে সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে গত মঙ্গলবার সৌদি আরবে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এই সফরে সৌদি বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।

সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার রিয়াদে সৌদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন দুপুরে তিনি সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং রাজপ্রাসাদে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকের পর রিয়াদে নিজস্ব জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।বুধবার মদিনায় গিয়ে তিনি মসজিদে নববীতে এশার নামাজ পড়েন এবং মহানবী হজরত মোহাম্মদের (স.) রওজা জিয়ারত করেন।

মদিনা থেকে বৃহস্পতিবার জেদ্দায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন।সেদিনই তিনি মক্কায় যান এবং ওমরাহ পালন করেন। সফর শেষে শুক্রবার রাতে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com