শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

স্বর্ণ চোরাচালান কি নীতিমালা দিয়ে বন্ধ করা যাবে?

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১৮
  • ১৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে কাগজে কলমে কোন স্বর্ণ আমদানি হয়না। ছবি-বিবিসি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশে স্বর্ণ ব্যবসার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাত নিয়ে এতদিন কোনও নীতিমালা ছিল না। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে স্বর্ণ নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে সরকার।

বাংলাদেশে স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলারদের মাধ্যমেই শুধুমাত্র স্বর্ণ আমদানি করার নিয়ম করতে যাচ্ছে সরকার।সে সম্পর্কে বিধান রেখে একটি স্বর্ণ নীতিমালায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি। তবে এখনো মন্ত্রীসভা থেকে এই নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু বলছিলেন, “আমরা যেটা করেছি কোন অথরাইজড ডিলার যেকোনও ব্যাংক, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে ব্যাংক নিয়োগ দেবে এবং তাদের মাধ্যমে স্বর্ণ বার আমদানি হবে। অর্থাৎ যিনি স্বর্ণ ব্যবসা করেন তিনি স্বর্ণ বার কেনার জন্য তাদের কাছে অর্ডার প্লেস করবেন। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে স্বর্ণ বার আমদানি করে দেবেন। এর ফলে যেটি হবে কতটুকু স্বর্ণ বিদেশ থেকে আমদানি করা হল বা কাদের কাছে বিক্রি করা হল তার একটা হিসেব থাকবে”

তবে স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে কি পরিমাণে শুল্ক ধরা হচ্ছে সেটি পরিষ্কার নয়।

বাংলাদেশে বহু বছর ধরে কোনও স্বর্ণ আমদানি হয়না।বাংলাদেশে বহু বছর ধরে কোনও স্বর্ণ আমদানি হয়না। ছবি -বিবিসি

শুল্কের পরিমাণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রয়েছে।

বাংলাদেশে জুয়েলারি সমিতির সভাপতি গঙ্গাচরণ মালাকার বলছেন, সরকার শুল্ক কত ধার্য করবে তার উপরেই নির্ভর করবে আমদানি করা স্বর্ণ বাজারে চলবে কিনা।

তিনি বলছেন, “যেমন একটা মার্কেটে দুইটা গোল্ডের দাম থাকতে পারেনা। কারণটা হল এখানে একটা পাকা সোনার হোলসেল মার্কেট আছে। রিসাইকেল করা পুরানো আছে। কাস্টমারের কাছ থেকে ধরুন দশ বছরের বা পঞ্চাশ বছরের পুরনো সোনা দোকানে আসতেছে নতুন ডিজাইন হচ্ছে। সেই সোনার থেকে যদি আমদানি করা সোনার দামে বেশি হয় তাহলে তো সেই সোনা কেউ কিনবে না”

তবে বাংলাদেশের বাজারে রয়ে যাওয়া পুরনো স্বর্ণ আর বিদেশ থেকে হ্যান্ড লাগেজে আনা জনপ্রতি অনুমোদিত মোটে একশ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে যে বাংলাদেশে স্বর্ণের চাহিদা পূরণ হয়না সেটি বোঝা যায়।

বহু দিন ধরে অভিযোগ রয়েছে চোরাচালান হয়ে আসা স্বর্ণের দিয়েই বাংলাদেশে স্বর্ণকারদের ব্যবসা পরিচালিত হয়।

চার বছরে বিমানবন্দরে দেড় হাজার কেজির বেশি পরিমাণে স্বর্ণ আটক হয়েছে।চার বছরে বিমানবন্দরে দেড় হাজার কেজির বেশি পরিমাণে স্বর্ণ আটক হয়েছে।ছবি -বিবিসি

স্বর্ণ অবৈধ পথে আসে বলে সরকার তার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক সায়মা হক বিদিশা বলছেন, আমদানির নিয়ম কানুন কতটা জটিল তার উপর নির্ভর করবে ব্যবসায়ীরা সঠিক পথে আমদানি করবেন কিনা।

তিনি বলছেন, “এই নিতিমালার ফলে অন্ততপক্ষে কিছুটা হলেও নিয়মতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থায় এই খাত পরিচালিত হবে। এক দিক থেকে সরকার যে একেবারেই শুল্ক পাচ্ছিলো না সেটা কিছুটা মোকাবেলা হবে। কিন্তু সরকার যদি তা থেকে সুবিধা নিতে চায় তাহলে এর সাথে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে শুল্কের পরিমাণ বা রেগুলেটরি নিয়মকানুন যেন এমন না হয় যাতে ব্যবসায়ীরা সঠিক পথে আমদানি না করে অন্য পথে কিছু করলো। সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়”

বাংলাদেশে অনেকদিন ধরে কাগজে কলমে কোন স্বর্ণ আমদানি হয়না।কিন্তু বাংলাদেশে হাজার হাজার স্বর্ণালংকারের দোকানে ব্যবসা ঠিকই চলছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল গত বছরের শেষের দিকে একটি গবেষণায় বলেছিল বাংলাদেশে বছরে ৪০ মেট্রিক টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে, যার প্রায় ৩৬ মেট্রিক টনই আমদানি করতে হয়।

২০১৭ সাল পর্যন্ত চার বছরে বিমানবন্দরে দেড় হাজার কেজির বেশি পরিমাণে স্বর্ণ আটক হয়েছে।

আমদানি না হলে হাজার হাজার স্বর্ণের দোকান ঠিকই চলছে।আমদানি না হলেও হাজার হাজার স্বর্ণের দোকান ঠিকই চলছে।ছবি -বিবিসি

যা থেকে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।এই নীতিমালার খসড়া তৈরিতে সহায়তা করেছে টিআইবি।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই নিতিমালা পাশ হলে স্বর্ণ চোরাচালান কতটা বন্ধ হবে?

তিনি বলছেন, “স্মাগলিং কতটা হবে সেটা এই নিতির উপর নির্ভর করবে না কারণ তার আর একটা আঙ্গিক আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের যে প্রচলিত আইন আছে তার প্রয়োগ, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সমন্বয় দরকার। কিন্তু কর্তৃপক্ষের মধ্যেও এক অংশের যোগসাজশ ছাড়া স্মাগলিং হয়না। এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনত হবে”ৎ

এই সব কিছু মিলিয়ে সব সংস্থা একসাথে কাজ করলেই শুধুমাত্র চোরাচালান বন্ধ করা যাবে বলছিলেন তিনি।

বিশ্বের সবচাইতে বেশি স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ হল বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত।সেখানে স্বর্ণ চোরাচালানের গুরুত্বপূর্ণ রুট বলা হয় বাংলাদেশকে।

নতুন নীতিতে অনুমোদিত ডিলারদের মাধ্যমে সোনা আমদানি হলে সেটি বন্ধ হবে কিনা সেনিয়েও প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা/জিকিউ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com