বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, ফসলি জমির মাটি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা71নিউজ,আফতাব হোসেন,চাটমোহর(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ইটভাটাগুলোতে ব্যাপকহারে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। একই সাথে পুড়ছে কৃষি জমির মাটি। ভাটা মালিকরা সরকারি আইন-কানুনের কোন তোয়াক্কা করছেন না। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় লাইসেন্সবিহীন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা।

অনুসন্থানে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় কতটা ইটভাটা আছে, এগুলোর কোন অনুমোদন আছে কিনা, তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে কিনা-তা জানেনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর। পুরাতন ফাইল থেকে জানা গেলো, এ উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে। নতুনভাবে ইটভাটা স্থাপন হলেও, তার তথ্য জানা নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। উপজেলার গুনাইগাছায় লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়াই ‘সিটিবি ব্রিকস’ এবং চরসেনগ্রামে ‘ডিএসএ ব্রিকস ফিল্ড’ চালু হয়েছে। এছাড়া হরিপুরে ‘মল্লিক ব্রিকস ফিল্ড’নামের আরেকটি ইটভাটা চালু হয়েছে।

যা উপজেলা প্রশাসনের নজরেই নেই। এই ৩টি ইটভাটা ইচ্ছেমতো কৃষি জমি ব্যবহার করছে। অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও বাঁশের মোথা। তাদের কোন প্রকার অনুমোদন কিংবা লাইসেন্স নবায়ন নেই। সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে আর পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। ইটভাটায় ব্যাপকহারে কাঠ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করায় যেমন উজার হচ্ছে বৃক্ষরাজি,তেমনি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে কৃষি জমি। অনেক কৃষক না বুঝেই জমির মাটি বিক্রি করছেন। প্রতিদিন রাতে নছিমন কিংবা ট্রলি যোগে ইটভাটায় ঢুকছে শ’শ’ মণ কাঠ। বিনাশ হচ্ছে বাঁশ ঝাড়ও।

প্রতি বছর অন্ততঃ ৬ মাসে একটি ইটভাটায় ৮০ লাখ থেকে দেড় কোটি ইট প্রস্তুত হয়। চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাসান রশীদ হুসাইনী জানান,কৃষি বিভাগের কোন প্রকার প্রত্যায়ন ছাড়াই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশবাদীদের অভিমত, ইট উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশের উপর প্রভাব স্পষ্ট। বিশেষ করে কৃষি জমি ও কাঠের ব্যবহার মহামারী আকার থারণ করেছে। ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে কোন আইন ও নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করছে না সংশ্লিষ্টরা। পরিবেশ বাঁচানোর জন্য এখনই যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন বন্ধ করতে হবে। চাটমোহর উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার জানান, কোন ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো যাবে না। ইতোমধ্যে ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। যাদের লাইসেন্স নেআ বা লাইসেন্স নবায়ন নেই এবং যারা আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com