বাংলা৭১নিউজ, বেনাপোল প্রতিনিধি : পিকনিকে যাওয়ার সময় বেনাপোলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ শিশু শিক্ষার্থী স্মরণে বৃহস্প্রতিবার দুপুরে শোক দিবস পালন করছেন বেনাপোল পৌর সভা।
বেনাপোল পৌর সভার আয়োজনে শিক্ষার্থী, শিক্সক বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বেনাপোল বলফিল্ড ময়দান থেকে এক শোক র্যালী বের করে।
উক্ত র্যালিটি নিহতদের স্মরনে বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভে সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে নিহত শিশুদের স্মরন করেন। সকালে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের নেতৃত্বে উক্ত র্যালি উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল, পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আহসান উলাহ মাস্টার, সাংবাদিক আজিবার রহমান, প্যানেল মেয়র শাহবুদ্দিন মন্টু সহ বেনাপোলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা এ শোক র্যালি তে অংশ গ্রহন করেন।
এ উপলক্ষে বেনাপোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চার বছর আগে ২০১৪ সালের এ দিনে বেনাপোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে মেহেরপুরের মুজিবনগরে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে চৌগাছার ঝাউতলা কাঁদবিলা পুকুর পাড়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৭ জন শিক্ষার্থী, আহত হয় আরো ৭০ জন শিশু শিক্ষার্থী ও ৩/৪ জন শিক্ষক। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন শিক্ষার্থী মারা যান।
ঘটনাস্থলে নিহতরা হলো, বেনাপোল পৌরসভার ছোটআঁচড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর দুই মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া (১০) ও তার বোন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী জেবা আক্তার (৮), একই গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মিথিলা আক্তার (১০), রফিকুল ইসলামের মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী রুনা আক্তার মীম (৯), লোকমান হোসেনের ছেলে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শান্ত (৯), গাজিপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির হোসেন (১০) ও নামাজ গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী আঁখি (১১)।
১৩ দিন পর ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছোট আঁচড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ইকরামুল (১১) সর্বশেষ দুর্ঘটনার ৩২ দিন পর ১৯ মার্চ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইয়ানুর রহমান (১১)।
দিন মাস পার হয়ে ফিরে এসেছে ৪ বছরের ঠিক এই দিনটি। কিন্তু ফিরে আসিনি হারিয়ে যাওয়া ৯ শিশু শিক্ষার্থী। আজো কাঁন্না থামেনি হারিয়ে যাওয়া এ সব শিশুদের পরিবারের। পথ চেয়ে বসে আছে এই বুঝি ফিরে আসছে তাদের হারিয়ে যাওয়া সন্তানেরা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস