‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ জাতীয় কবির এ বাণী আজও নারীর ক্ষমতায়নের প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে নারীরা এখন শুধু ঘরের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নেই, তারা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, প্রশাসনসহ সরকারি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নারীরা নিয়োজিত রয়েছেন।
নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ মুহূর্তে দারুণ উদাহরণ। এ জেলার পাঁচ উপজেলার ৪টিতেই রয়েছেন নারী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
তাঁরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন মোছা. তাছমিনা খাতুন, গোমস্তাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নিশাত আনজুম অনন্যা, নাচোল উপজেলার নীলুফা সরকার ও ভোলাহাট উপজেলার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন ফাতেমা খাতুন। অন্যদিকে জেলার আরেক উপজেলার নাম শিবগঞ্জ। সেখানে একজন পুুরুষ নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তার নাম মো. আজহার আলী।
বিভিন্ন সময়ে মাঠ প্রশাসনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নারী কর্মকর্তারা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে প্রশাসনে নারী কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় হচ্ছে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছমিনা খাতুন বলেন, “আগের থেকে নারীরা অনেক সম্মান পাচ্ছে। ঠিক তাই আমার সঙ্গেও হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি অনেকেই সহযোগিতা করছেন। আগে অনেক কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতো। এখন আগের থেকে অনেক কিছু স্বাভাবিক হয়েছে।”
জেলার চার ইউএনও-ই কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার ছাপ রাখছেন। তাঁরা স্ব স্ব উপজেলায় উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করছেন।
নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বিগত যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে শক্তিশালী বাংলাদেশ বলে মনে করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ।
তিনি বলেন, “চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫টি উপজেলার মধ্যে ৪টি উপজেলাতে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করে এই পদে চাকরি করছেন। পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আগের থেকে শক্তিশালী হয়েছে বাংলাদেশ। কর্মক্ষেত্রে নারীরা অনেক ভালো করছেন। আগামীতে এটা আরও বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।”
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ