রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

তিস্তার ভাঙনে বিপর্যস্ত সুন্দরগঞ্জ, পুনর্বাসন-ত্রাণ সহায়তার দাবি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। কানি-চরিতাবাড়ি, লখিয়ারপাড়া, পাড়াসাদুয়া, চর-মাদারীপাড়া ও বোয়ালীর চরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট এবং বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বহু পরিবার নতুন করে হুমকির মুখে রয়েছে।

প্রতিদিন ঘরবাড়ি হারানো এসব মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে, চরের পথে বা রাস্তার ধারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকেই গৃহপালিত পশুপাখিসহ অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। কিছু পরিবার আত্মীয়-স্বজনের আশ্রয়ে থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রের অভাবে অধিকাংশ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করছে। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি তাদের দাবি দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী এবং পুনর্বাসন সহায়তা।

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের দাবি, নদীভাঙন ও বন্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে, তিস্তা নদীর চরের কারণে পানির প্রবাহ তাদের বসতভিটার দিকে ধাবিত হয়ে ভাঙন ত্বরান্বিত করছে। ফলে বসতভিটা ও আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। দুর্গত পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণে সহায়তার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।

কানি চরিতাবাড়ি গ্রামের নদীভাঙনের শিকার আবদুল মতিন মিয়া বলেন, এবারের নদীভাঙনে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। বাপ-দাদার ভিটে হারিয়ে পুরোপুরি শেষ হয়ে গেলাম। কোথায় গিয়ে দাঁড়াব, কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।

একই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা‌ সিদ্দিক মিয়া বলেন, গত সপ্তাহ থেকে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। অথচ ভাঙন রোধে কারও কোনো নজরই নেই। কখন যে নদী ভেঙে আমাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায় সেই ভয়ে আছি। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সন্তানদের নিয়ে সারারাত জেগে থাকি। 

হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনে এই ইউনিয়নের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অনেকেই কর্মসংস্থানের জন্য রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে চলে গেছেন। তবে এই দুর্যোগের সময় তাদের পরিবারের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোর জন্য চার দফায় ১২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া জিইউকে নামের একটি বেসরকারি সংস্থা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান, ভাঙনের কারণে এখন পর্যন্ত ২৮২ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত পরিবারের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে, তাই আরও সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। এই পর্যন্ত প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি বিশেষ ভিজিএফ চাল প্রদান করা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com