ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে উৎপন্ন চারার মধ্যে বেশির ভাগই হাইব্রিড জাতের মরিচের চারা। বিজলি, বিজলি প্লাস, গ্রিন সুপার, গ্রিন মাস্টার, এনএস-১৭০১, লুবাসহ নানা জাতের হাইব্রিড মরিচের চারা উৎপাদন করা হয়েছে নার্সারিতে। এ ছাড়া রয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, বেগুন ও টমেটোর চারা।
শাহনগর নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম বলেন, এবার প্রায় ২০ কোটি চারা উৎপন্ন হয়েছে। গত বছরের মূল্য ধরে এবার ১৫ কোটি টাকার চারা বিক্রি হওয়ার কথা। তবে আবহাওয়ার কারণে ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে গেছে। ফলে দামও বেড়ে গিয়ে ২২ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা সমাগম কম। এ কারণে লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা।
শাহনগর নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, বড়পাথার গ্রামের দরিদ্র কৃষক শামসুল ইসলাম আশির দশকে স্বল্প পরিসরে সবজির চারা উৎপাদন শুরু করেছিলেন। নব্বইয়ের দশকে অন্যরাও চারা উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। তিন দশকে সেখানে রীতিমতো সবজির চারা উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে।
প্রতিবছর জুনের শেষ বা জুলাইয়ের শুরু থেকে চারা বিক্রি শুরু হয়। নার্সারির বেডে বীজ বপনের ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যেই চারা বিক্রি শেষ না হলে ফুল ফুটে সেসব নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিটি নার্সারিতে এক মৌসুমেই দুই থেকে তিন দফা চারা উৎপাদন করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান জানান, প্রতিবছরের মতোই এবারও শাহনগর এলাকায় ব্যাপকভাবে চারা উৎপাদন করা হয়েছে। স্বল্পমূল্যে গুণগত মানসম্পন্ন চারা পাওয়ায় প্রতিবছর এখানকার চারার চাহিদা বাড়ছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ায় চারা উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য পলিথিনের ছাউনিতে নার্সারির বেডগুলো ঢেকে দেওয়া হয়। চারা উৎপাদনে সম্পৃক্ত নার্সারি মালিকদের কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ওই এলাকায় নিয়মিত মাঠ দিবস পালন করা হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ