বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত আর বঞ্চিত মানুষের আশার বাতিঘর। তিনি সারাজীবনের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন একটি স্বাধীন দেশ। বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, চেতনা ও দর্শনের নাম। তিনি বাঙালির প্রাণের প্রদীপ।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানবপ্রেম, মহানুভবতা ও অসীম সাহসিকতা বঙ্গবন্ধুকে এক কালজয়ী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব)। অন্যান্যের মধ্যে সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মো. শাহজাহান সিদ্দিকী বীর বিক্রম, এ এফ এম ইয়াহিয়া চৌধুরী ও ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার বক্তব্য দেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব পরিচালক, জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ভার্চুয়াল সভায় সংযুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ