শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

খেলাপি ঋণ কমাতে বিশেষ ছাড় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

খেলাপি ঋণ কমাতে ঋণ পরিশোধে আবারও বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শিথিলতার আওতায় চলতি বছর ঋণের কিস্তির একটি অংশ পরিশোধ করলেই খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না ঋণগ্রহীতা। ‘ঋণ শ্রেণীকরণ’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা গত শুক্রবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

গত বছর ঋণ শোধ না করলেও কেউ খেলাপি হননি। এ বছর শিথিলতার বিষয়টি ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর ছেড়ে দেওয়ায় খেলাপি ঋণ ব্যাপকভাবে বাড়ে। এরকম পরিস্থিতিতে নতুন সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছর গ্রাহকের মোট ঋণের কিস্তির ২৫ শতাংশ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলেও তাকে আর খেলাপি করা যাবে না।

করোনার সুবিধায় কমেছে খেলাপি ঋণ

জানা গেছে, করোনা মহামারি শুরুর পর ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে গ্রাহকদের ঋণ খেলাপি না করার বিশেষ সুবিধা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমে গত বছরের জুন পর্যন্ত এ সুবিধা ছিল। পরে দুই দফা সময় বাড়িয়ে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তা করা হয়। চলতি বছর আগের মতো ঢালাও সুবিধা না থাকলেও ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ পরিশোধে বিভিন্ন শিথিলতা আনা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, চলমান, তলবি এবং মেয়াদি প্রকৃতির ঋণ-বিনিয়োগ পরিশোধ বা সমন্বয়ের ক্ষেত্রে চলতি বছরের মার্চ মাসের কিস্তি ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ বা সমন্বয় করলে ঐ ঋণ বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। পরে এ নির্দেশনার সময় ও সুযোগ আরো বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গত ২৭ জুন নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, চলতি বছরের জুন মাসের ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ২০ শতাংশ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলে ঐ সময়ে ঋণ বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। কিন্তু তার পরও বাড়তে তাকে খেলাপি ঋণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা বেড়ে ৯৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ফের জারি করা নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ২৫ শতাংশ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে পরিশোধ করলে ঐ ঋণ বিরূপমানে শ্রেণীকরণ বা খেলাপি করা যাবে না। অর্থাত্ ঋণের কিস্তি ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ টাকা হলে ২৫ টাকা পরিশোধ করলেই নিয়মিত গ্রাহক হয়ে যাবে।

কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব প্রলম্বিত হয়েছে। এ সময়ে চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজায় রাখা এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের গতিধারা স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও রফতানি বাণিজ্য সমুন্নত রাখা দরকার।

এ লক্ষ্যে আগের প্রজ্ঞাপনে দেওয়া সুবিধার আওতায় ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ২৫ শতাংশ ডিসেম্বর মাসের শেষ কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করলে তা বিরূপমানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির অবশিষ্টাংশ বিদ্যমান মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়েছে, আগের নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণের বিপরীতে ইতিমধ্যে আদায়কৃত অর্থ এ প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা পরিপালনের ক্ষেত্রেও আদায় হিসেবে বিবেচনা করা যাবে। সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণের ওপর আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তরকরণ এবং উক্ত ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের বিষয়ে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com