বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০১:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

শেরপুরের রাজার পাহাড়ে গিয়ে যা দেখবেন

শেরপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

রাজার পাহাড়, নাম শুনলেই নিশ্চয়ই কল্পনায় ভেসে ওঠে কোনো রাজা সিংহাসন পেতে বসে আছে পাহাড় চূড়ায়! যদিও এখন সেখানে গেলে রাজার দেখা মিলবে না; তবে প্রাচীনকালে এই পাহাড়ের গায়ে এক স্বাধীন রাজ্য ছিল। যার রাজা ছিলেন অত্যন্ত প্রতাপশালী। পরে তার নামানুসারেই এ পাহাড়ের নাম হয় রাজার পাহাড়।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী প্রান্তিক শেরপুর জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ছোট বড় টিলা, শাল গজারীর বন, পাহাড়ের নিচে বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর। সেখানেই আছে সুবিশাল ও রোমাঞ্চকর রাজা পাহাড়। পর্যটকদের কাছে শেরপুরে অন্যতম আকর্ষণ হলো রাজার পাহাড়।

jagonews24

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী পৌর শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে কর্নঝোরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাজার পাহাড়ের অবস্থান। স্থানীয়দের কাছে এটি জনপ্রিয় বিনোদন স্পট। বছরে প্রায় সব সময়ই শত শত মানুষ রাজার পাহাড়ের নির্মল পরিবেশে বেড়াতে যান।

গারো পাহাড়ে যতগুলো পাহাড় আছে তার মধ্যে রাজার পাহাড়ের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। এ পাহাড়ের বৈশিষ্ট সিলেট বা বান্দরবানের পাহাড়ের মতো না হলেও, সবুজের ঐশ্বর্যে সে কারও চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

jagonews24

রাজার পাহাড়ের উৎপত্তি নিয়ে কিংবদন্তি অনেক ঘটনা আছে। স্থানীয়দের মতে, অতীতে পাগলা দারোগা নামে এক ব্যক্তি রাজার পাহাড়ের চূড়ায় বসবাস শুরু করেন। এখনও তার সন্তানেরা এই অঞ্চলে আচেন।

তারাই এ পাহাড়ের কোণায় গড়ে তোলেন বিভিন্ন ফলের বাগান। পরে স্থানীয় আদিবাসীরাও এসব ফলের বাগান করা শুরু করে। রাজার পাহাড়ে দেলে এর বিভিন্ন কোনায় দেখা মিলবে- আম, কাঁঠাল, লিচু ও কলার বাগানের।

যা দেখবেন

রাজার পাহাড়ের আকার দেখলেই বোঝা যায়, গারো পাহাড়শ্রেণির মধ্যে এটি আসলেই এক রাজা। এর চূড়ায় আছে শতাধিক হেক্টরের সবুজে ছাওয়া সমতল ভূমি। পাহাড়ের উপরে উঠলেই দূরের আকাশকে কাছে মনে হয়।

jagonews24

এর চূড়ার বিশাল সমতল ভূমিতে যেতে সরু পথ আর অদ্ভুত নির্জনতা যে কাউকে মুগ্ধ করবেই। আর ওই পথে যেতে যেতে যখন কানে আসবে বুনো পাখির ডাক, তখন মনে হবে আসলেই এ এক অন্য রাজার দেশে চলে এসেছেন।

এ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় আশপাশের কর্ণঝোড়া, মালাকোচা, দিঘলাকোনা, হারিয়াকোনা, চান্দাপাড়া, বাবেলাকোনাসহ ভারতের সীমান্ত এলাকা। পাহাড়ের নিচ দিয়েই কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে ঢেউফা নদী। বর্ষাকালে ঢেউফা নদীর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

শীতে আবার নদী হয় শীর্ণকায়া। তবে খরস্রোতা এই পাহাড়ি নদীর পানি কখনই কমে না। এর বুকের বিশাল বালুচর দেখলে মনে হবে যেন পাহাড়ের কূলঘেষা এক বিকল্প সমুদ্র সৈকত।

jagonews24

রাজার পাহাড়ের পাশেই আছে আদিবাসী জনপদ বাবেলাকোনা। অসংখ্য উঁচু টিলায় ঘেরা এই গ্রামে বাস করে গারো, হাজং ও কোচ অধ্যুষিত আদিবাসীরা। এ জনপদ যেন বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের চলমান জীবন সংগ্রামের এক বিরল দৃষ্টান্ত।

আদিবাসীদের সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও চর্চার কেন্দ্র হিসেবে সেখানে আছে বাবেলাকেনা কালচারাল একাডেমি, জাদুঘর, লাইব্রেরি, গবেষণা বিভাগ ও মিলনায়তন। এখান থেকে আদিবাসীদের সম্পর্কে জানতে পারবেন অনেককিছু।

শেরপুর গেলে আরও ঘুরে আসতে পারেন গজনি অবকাশ যাপন কেন্দ্র, মধুটিলা ইকোপার্ক, নাকুগাঁও স্থলবন্দর, নয়াবাড়ি টিলা, পানিহাতার তারানি পাহাড়, সুতানাল দীঘি থেকে।

jagonews24

কীভাবে যাবেন?

দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাসে কিংবা যে কোনো যানবাহনে করে আসা যায় শেরপুর শহরে। সেখান থেকে মাত্র ৩৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীবরদীর কর্ণঝোরা বাজার। সেখান থেকে বাস, টেম্পুসহ অটোরিক্সা নিয়ে চলে যাওয়া যাবে রাজার পাহাড় ও পরে বাবেলাকোনায়।

থাকবেন কোথায়?

রাজার পাহাড়ে থেকে সেখান থেকে রাত্রিযাপনের জন্য বন বিভাগের ডাক বাংলোয় যেতে পারেন। এ ছাড়াও লাউয়াচাপড়ার পিকনিক স্পটের কাছে উন্নতমানের বনফুল রিসোর্টে থাকতে পারেন ৩-৫ হাজার টাকার মধ্যে। শ্রীবরদী উপজেলার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন কম খরচে।

jagonews24

তা ছাড়াও জেলা সদরে আছে জেলা পরিষদ এবং এলজিইডির রেস্ট হাউজ এবং জেলা ডাক বাংলো। জেলা শহরে হোটেল সম্পদ, হোটেল কায়সার ইন ছাড়াও আরও কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com