শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

ঈদের পর ৭৮১ কোটি টাকা হারালেন বিনিয়োগকারীরা

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ঈদের পর প্রথম সপ্তাহ ভালো গেল না শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য। গেল সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যাওয়ার কারণে ৭৮১ কোটি টাকা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

অবশ্য ঈদের আগে টানা তিন সপ্তাহ শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যায়।

গত ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হওয়ায় ২০ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকে। টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার থেকে দেশের শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন শুরু হয়। গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিনদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকে বাজার।

এতে মূল্যসূচকে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাজার মূলধনে। গেল সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা।

যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭৮১ কোটি টাকা।

ঈদের আগের তিন সপ্তাহের টানা উত্থানে ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ২০ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। সেই হিসেবে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা বাড়ার পর বাজার মূলধন ৭৮১ কোটি টাকা কমল। এতে জুলাই মাসে ডিএসইর বাজার মূলধন ২০ হাজার ১২২ কোটি টাকা বেড়েছে।

বাজার মূলধন বাড়া বা কমার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছে বা কমেছে। অর্থাৎ বাজার মূলধন বাড়লে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। একইভাবে বাজার মূলধন কমলে বিনিয়োগকারীদের অর্থের পরিমাণ কমে যায়।

এদিকে, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২০ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৩২ শতাংশ। ঈদের আগের তিন সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ২৫৫ পয়েন্ট। এতে চার সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ল ২৭৬ পয়েন্ট।

চার সপ্তাহের এই টানা উত্থানের কারণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থাতে পৌঁছে গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স। মূল্যসূচকের ভুল গণনা বন্ধ করতে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি নতুন সূচক ডিএসইএক্স চালু করে ডিএসই। ৪০৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হওয়া সূচকটি এখন ছয় হাজার ৪২৫ দশমিক ২৫ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

প্রধান মূল্যসূচক রেকর্ড অবস্থানে উঠে আসার পাশাপাশি গেল সপ্তাহে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। গেল সপ্তাহে এই সূচকটি বেড়েছে ৫ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা দশমিক ২৪ শতাংশ। ঈদের আগে তিন সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১১৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট।

অপরদিকে, ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে। গত সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ১৩ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৬ শতাংশ। ঈদের আগের তিন সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭৩ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় এক হাজার ৫২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১০৩ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৫৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৭১ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ১৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। মোট লেনদেন বাড়ার কারণ গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ঈদের কারণে তিন কার্যদিবস কম লেনদেন হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com