শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

অভিযানে জব্দকৃত জাল গোপনে বিক্রির অভিযোগ

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

মৎস্য বিভাগের অভিযানে জব্দকৃত জাল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে গোপনে। এছাড়া, এসব অভিযানে আটক জেলেদেরও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে নিয়ম ছাড়াই। মৎস্য বিভাগের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন ভোলার দৌলতখানের স্থানীয়রা।

ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্রশাসনের অভিযানের মধ্যেও উপজেলার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তবে ইলিশ ধরা বন্ধে মৎস্য বিভাগের অভিযান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

জানা গেছে, সর্বশেষ গত শনিবার (১৩ মার্চ) একটি ট্রলার ও স্পিডবোট যোগে দৌলতখানের মেঘনায় ইলিশ রক্ষা অভিযানে নামে উপজেলা মৎস্য দপ্তর। ওই দিন দুই দফা মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২১ জন জেলে, তিনটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করা হয়। এ ছাড়া অভিযানে জব্দকৃত জালগুলো দুই হাজার মিটার বলে জানানো হয়। অভিযান শেষ করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেনের উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাল মেঘনার পাড়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

কিন্তু ওই দিন রাতে অভিযানে জব্দকৃত জাল গোপনে বিক্রির অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, শনিবার মৎস্য দপ্তরের অভিযানে জব্দকৃত জাল অভিযানে ব্যবহৃত ট্রলারের দুই মাঝি তসির ও মনির গোপনে বিক্রি করছিলেন। এ সময় তারা স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করলে তসির ও মনির জাল ফেলে পালিয়ে যান। ঘটনাটি স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানান।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) আমির হোসেন জানান, ওই দিন (শনিবার) মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে জেলে, জাল ও ট্রলার জব্দ করা হয়। ট্রলারে জাল লুকিয়ে রাখার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। জাল বিক্রির খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তারা জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলেছেন।

অভিযানে আটক জেলেদের নিয়ম কানুন ছাড়াই ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আমির হোসেন। তিনি জানান, আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ভোলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাউছার হোসেন বলেন, মৎস্য দপ্তরের এ অনিয়মের দায়ভার উপজেলা প্রশাসন গ্রহণ করবে না। ইতিমধ্যে মেঘনায় অভিযান পরিচালনার সময় নদীতে আটক জেলে ও নৌকা ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আমরা মৎস্য দপ্তরকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তাদের দায়ভার আমরা নেব না।

বাংলা৭১নিউজ/জিকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com