রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

কোরবানি দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের যা করা নিষেধ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: যদি যিলহজ্জ মাসে প্রবেশ করা সাব্যস্ত হয় তাহলে যিনি কোরবানি করতে ইচ্ছুক তার জন্যে তার শরীরের কোন চুল কাটা, নখ কাটা কিংবা চামড়া কাটা হারাম। কিন্তু, নতুন জামা-কাপড় পরিধান করা, মেহেদি দেয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা, স্ত্রী উপভোগ করা কিংবা সহবাস করা নিষিদ্ধ নয়।

এ বিধান শুধুমাত্র কোরবানিকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। যাকে কোরবানির পশু জবাই করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়। এ কারণে কোরবানিকারীর স্ত্রী-পুত্র কিংবা প্রতিনিধির উপর এসব কিছু হারাম হবে না।

উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের কেউ যখন যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখে এবং সে ব্যক্তি যদি কোরবানি করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে সে যেন চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে”। [সহিহ মুসলিম (১৯৭৭)] অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, “সে যেন তার চুল ও চামড়ার কোন কিছু (কর্তন বা উপড়ে ফেলার মাধ্যমে) স্পর্শ না করে”।

বলিষ্ঠ মতানুসারে এখানে এ নির্দেশ ওয়াজিবের অর্থে এবং নিষেধ হারামের অর্থে ব্যবহার হয়েছে। কারণ, তা ব্যাপক আদেশ এবং অনির্দিষ্ট নিষেধ, যার কোন প্রত্যাহতকারীও নেই। কিন্তু যদি কেউ জেনে-শুনে ইচ্ছা করেই চুল-নখ কাটে, তবে তার জন্য জরুরি যে, সে যেন আল্লাহর নিকট ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে। আর তার জন্য কোন কাফফারা নেই। সে সবাভাবিকভাবে কোরবানিই করবে। আবার প্রয়োজনে (যেমন নখ ফেটে বা ভেঙ্গে ঝুলতে থাকলে বা মাথায় জখমের উপর চুল থাকলে এবং ক্ষতির আশঙ্কা হলে) কেটে ফেলতে কোন দোষ নেই। কারণ, সে মুহরিম (যে হাজ্জ বা ওমরার জন্য ইহরাম বেঁধেছে তার) অপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যার জন্য অসুবিধার ক্ষেত্রে মাথা মুন্ডিত করাও বৈধ করা হয়েছে।

যে ব্যক্তির সামর্থ্য না থাকার কারণে তার কোরবানি করার ইচ্ছা নেই তার জন্য এগুলো কাটা হারাম নয়। আর কোরবানি করতে ইচ্ছুক এমন কেউ যদি এগুলো কেটে ফেলে তার উপর ফিদিয়া আবশ্যক হবে না। বরং তার উপর তাওবা ও ইস্তিগফার করা আবশ্যক হবে।

কোরবানি করার জন্য যদি কেউ কাউকে ভার দেয় অথবা অসীয়ত করে, তবে সেও নখ-চুল কাটবে না। অবশ্য ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা অসী এই নিষেধের শামিল হবে না। অর্থাৎ তাদের জন্য নখ-চুল কাটা দূষণীয় নয়।

অনুরূপভাবে পরিবারের অভিভাবক কোরবানি করলে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল তার পক্ষে হবে; বাকি অন্যান্য স্ত্রী-পুত্র বা আত্মীয়রা শামিল হবে না। তাদের জন্য নির্দিষ্ট কোরবানি না থাকলে তারা নিজেদের চুল-নখ কাটতে পারে। যেহেতু আল্লাহর রসূল (সা.) নিজ বংশধরের তরফ থেকে কোরবানি করতেন অথচ তিনি তাদেরকে নখ চুল কাটতে নিষেধ করেছেন বলে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না।

বাংলা৭১নিউজ/এমএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com