শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

করোনার ক্রান্তিকালেও বাড়ছে দ্রব্যমূল্যে, নেই নজরদারি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: করোনায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাজারেও। লকডাউনে খেটে লোকজনের আয় রোজগার শূন্যের কোঠায়। নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত, তিন শ্রেণীর লোকজন পড়েছেন বেশি বিপাকে।

করোনায় সৃষ্ট মহামারিতেও নিজেদের মৌলিক চাহিদা অন্যতম অন্ন সংস্থানে দুশ্চিন্তা দিনানিপাত। নিম্নবিত্তরা অন্যের দ্বারস্থ হতে পারলেও মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তদের কপালে চিন্তার বলিরেখা এঁকে দিয়েছে করোনা। একই সঙ্গে রমজান মাসকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের বাজারে উত্তাপ লেগেছে। যথাযথ বাজার মনিটরিং না থাকায় এই উত্তাপ কর্মহীন মানুষের শরীর-মন পুড়ছে।

নিত্যপণ্য থেকে কাঁচাবাজার সবকিছুই যেনো এই তিন শ্রেণীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বিগত দিনে পাইকারী দোকানিরা সিন্ডিকেট করলেও এবার বেপরোয়া খুচরা ব্যবসায়ীরা। করোনাকালেও অধিক লাভের আশায় বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন সেসব ব্যবসায়ীরা।

নগরের দরগাহ এলাকার সুমন আহমদ নামে রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার বলেন, নিত্যপণ্য পাইকারী বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারে ব্যবধান অনেক। তেমনি কাঁচাবাজারেও কৃষকের কাছ থেকে সস্তায় কিনে বস্তাভর্তি করে আনা সবজি শহরের বাজারে এসে আগুন দাম হাঁকানো হয়। এরমধ্যে নিত্যপণ্যের মধ্যে আদার কেজি ৪শ’র ঘর ছুঁয়েছে।

তবে দ্রব্যমূল্য দাম বাড়ার কারণে বাড়িয়ে বিক্রি করতে হয় বলে জানিয়েছেন নগরের মীরের ময়দানের ব্যবসায়ী হাসান আহমদ ও রিকাবিবাজারের মা স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন আহমদ।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানকে সামনে রেখে প্রতি বস্তা চালে খুচরা বাজারে ৫/৬ টাকা দাম বেড়েছে। দাম বেড়েছে ছোলা-ডালেরও। কিছুদিন আগে ৬০ টাকা বিক্রি করা ছোলার কেজি এখন ৮০ টাকা। ৫৫ টাকা কেজি দরের বড় লাল ডাল এখন ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে গেছে ৫৫ টাকায়, নিম্নমানের ভোজ্যতেল ৯৮ টাকা এবং কোম্পানির তেল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি, খেঁজুর প্রকারভেদে ১৫০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি। একই পণ্যের দাম মফস্বলের বাজারগুলোতে আরো বেশি রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিশ্বনাথ এলাকার সাদিকুর রহমান বলেন, যে চালের বস্তা ২১৫০ টাকা ছিল, এখন সেই একই মানের চাল ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ৭শ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আর ১৬৫০ টাকার নরমাল চাল এখন ২১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

একই অভিযোগ করেন ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারের জয়নাল আবেদীন, গোয়াইনঘাটের বিছানাকান্দি এলাকার ডা. হারুনুর রশিদ ও ফেঞ্চুগঞ্জ বিআইডিসি এলাকার আব্দুস সালাম।

তারা জানান, শহরের তুলনায় গ্রামে জিনিসপত্রের দাম আরো বেশি। কয়দিন আগে ৩০ টাকা করে বিক্রি করা পেঁয়াজ এখন গ্রামের বাজারে ৬০/৭০ টাকা, ৫৫ টাকার ছোলা ৮০ টাকা, আলু ৩০, আদা ১৮০ থেকে এখন ৪শ টাকা কেজি, রসুন ১৪০ থেকে ১৭৪ টাকা হয়েছে।

এদিকে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু পৌঁছে গেছে কেজি ৩০ টাকায়, ১৫ টাকার ঢেঁড়শ ৬০ টাকা কেজি, এক হালি লেবু এখন ৬০-৮০ টাকা, টমেটো কেজি ৩০, কাকরোল ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও বেড়ে চলেছে।

এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, বাজার মনিটরিংয়ে আমাদের মোবাইল টিম আছে। দ্রব্যমূল্য অহেতুক বাড়ানোর কারণে ইতোমধ্যে অনেকে জরিমানা গুণছেন। এরপরও রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভা থেকে বাজার মনিটরিং টিম করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এমআর

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com