বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কারওয়ান বাজারের সোনারগাঁও হোটেলের সামনে দক্ষিণ ট্রাফিক সিগন্যালে রয়েছে একটি সিসি ক্যামেরা। আর তিতাস ভবনের সামনে রয়েছে একটি। তাও দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। এ ছাড়া পান্থপথ, বাংলামটর মোড়সহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কোনো সিসি ক্যামেরা নজরে পড়ে না।
অথচ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্বরাষ্টমন্ত্রী প্রায় এক বছর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন গোটা রাজধানীকে জননিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
কারওয়ান বাজার এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুরো কারওয়ান বাজার এলাকায় সরকারিভাবে দুটি সিসি ক্যামেরা দেখা যায়, যা প্রায় এক বছর ধরে নষ্ট। মাঝে কিছুদিন কাজ করলেও এখন তা পুরো অচল। কিছুদিন আগে একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু ক্যামেরা নষ্ট থাকায় সেই ফুটেজ দিতে পারেনি ডিএমপি।
কারওয়ান বাজারের প্রজাপতি গুহার দুই পাশে নেই কোনো সিসি ক্যামেরা। কথা ছিল বেশ কিছু দিন আগেই সেখানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি আজও। প্রজাপতি গুহার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ইদ্রিস আলী। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, “আমি প্রায় এক বছর ধরে এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি। এখানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। কয়েক দিন আগেও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কথা শুনেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ তা স্থাপন করেননি।”
এ ছাড়া বাংলামটর মোড়, শেরাটন হোটেল ও শাহবাগ মোড়ের তো গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কের নিরাপত্তায় কোনো সিসি ক্যামেরা নজরে পড়েনি। বাংলামটর মোড়ে স্থাপিত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মামুন ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার জানামতে এখানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই।
গত বছরের প্রথম দিকে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) স্থাপন করার কথা বলেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সিসিটিভি কেনার জন্য প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এ জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগও দেওয়া হয়েছিল।
চলিত বছরের মে মাসে রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজধানীর গুলশান, বারিধারা ও নিকেতন এলাকার সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ হাজার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ৬৪২টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
গোটা রাজধানীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার চক্রবর্তী ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ব্যাপারে তিনি তেমন কিছু জানেন না।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। তবে সময় লাগবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়নি বলে জানায় সূত্র।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা সব স্থানেই স্থাপন করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস