রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

৬৯ লাখ টাকার সেতুতে মই বেয়ে ওঠে ৫ গ্রামের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৬৯ লাখ টাকার নির্মিত সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো বেয়ে। সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। নির্মাণের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা বিলের ওপর নির্মিত ওই সেতুটি যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের বছর পার হয়ে গেলেও দুইপাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয়ে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ইটাপোতা বিলের ওপর ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণের বরাদ্দ দেয়। সেতুটির নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শেষ হয়। ওই মাসেই সেতুটি হস্তান্তর করার চুক্তি ছিল ঠিকাদারের সঙ্গে। কিন্তু সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি এখনো হস্তান্তর করেননি ঠিকাদার লিটন ইসলাম। কিন্তু এরইমধ্যে ঠিকাদারকে ৮০ শতাংশ বিল দেওয়া হয়েছে।

এ অবস্থায় বাঁশ দিয়ে বানানো মই দিয়ে সেতু পার হওয়ার ব্যবস্থা করেছে এলাকাবাসী। সেটিও ভেঙে গিয়ে এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে ইটাপোতা, বনগ্রাম, ছড়ারপার, খারুয়া ও বুমকা গ্রামের মানুষ প্রায় ১৫ হাজার মানুষ চলাচল করেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা আগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন সেটিই ভালো ছিল। কিন্তু নির্মিত সেতুটি এখন তাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় সাহারা বেগম বলেন, ব্রিজ হয়ে গেছে কিন্তু দুই ধারে মাটি নেই। পানিতে ভিজে পার হতে হয়। আমাদের কষ্টের শেষ নাই। দুই ধারে মাটি দিলে আমাদের আর কোনো সমস্যা হতো না। বাচ্চাদের নিয়ে খুব ঝুঁকিতে পারাপার হচ্ছি।

মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, উপজেলার মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে ওই সেতু সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। পানি শুকালেই মাটি ফেলে রাস্তার কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করা হবে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, কয়েক দফা বন্যা হওয়ায় ওই ব্রিজের পাশ থেকে মাটি ধসে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামান এন্টারপ্রাইজ ব্রিজের দুইপাশে মাটি ভরাট এবং পাইলিংয়ের কাজ করছে। বর্তমানে মাটি ভরাটের কাজ চলমান আছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com