জুলাই অভ্যুত্থান, বিশেষ করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এনসিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দল হিসেবে আগে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের দোষ স্বীকার করতে হবে। এরপর আওয়ামী লীগ নিয়ে অন্য কোনও আলোচনা হতে পারে কিন্তু তার আগে নয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে, তা রাজনীতিবিদরাই নির্ধারণ করবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। খুনিদের বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে।’
সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আজ থেকে সাত মাস আগে দেশে যে ফ্যাসিবাদ জেঁকে বসেছিল, ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করেছে। আমরা ভেবেছিলাম আমরা মুক্ত হয়েছি, আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় তাদের লোক পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় নাগরিক পার্টি সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রাখবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র সদস্য সচিব ডা. তাসনিন জারা প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম