মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

১৮৪ বস্তা চাল চুরি, আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(বরিশাল)প্রতিনিধি: জেলেদের ১৮৪ বস্তা চাল চুরির মামলায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান নূরে আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে কেদারপুর ইউনিয়নের স্টিমারঘাট সংলগ্ন বাড়ির পাশ থেকে নূরে আলমকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ১৫ এপ্রিল র‍্যাব-৮ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে নূরে আলমের বাড়ি থেকে জেলেদের ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেছিল। ওই সময় র‍্যাবের অভিযান টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান চেয়ারম্যান নূরে আলম। ওই দিনই র‍্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন নূরে আলম।

নূরে আলম কেদারপুর ইউনিয়নের স্টিমারঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

র‍্যাব-৮-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুকুর চাকমা বলেন, জেলেদের চাল ওজনে কম দেয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে ১৫ এপ্রিল কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালানো হয়েছিল। জনপ্রতি ৪০ কেজি চাল বিতরণের কথা থাকলেও প্রতিজনকে ১০ কেজি করে কম দেয়া হয়। এ অভিযোগে আটক করা হয় ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রোকনউজ্জামানকে।

পরে র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, চেয়ারম্যান নূরে আলম জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য তাদের ৩৫ কেজি করে চাল দিয়েছেন। বাকি পাঁচ কেজি করে চাল তারা রেখে দিয়েছেন। এ কারণে ৪০ কেজি করে না দিয়ে তারা জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়িতে বেশ কয়েক বস্তা চাল রাখা আছে বলে জাকির ও রোকনউজ্জামান র‍্যাবকে জানান।

এএসপি মুকুর চাকমা আরও বলেন, জাকির ও রোকনউজ্জামানের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে সেই দিনই চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় ৩০ কেজি ওজনের ১৮৪ বস্তা চাল। প্রতি বস্তা ৩০ কেজি হিসেবে পাঁচ হাজার ৫২০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় নূরে আলমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করে।

বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, চাল চুরির মামলার আসামি নূরে আলম দুই মাস আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি মঙ্গলবার সকালে কেদারপুর ইউনিয়নের স্টিমারঘাট সংলগ্ন তার বাড়িতে আসবেন। পুলিশ আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/জেআই

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com