বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

হয়রানি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে-রাষ্ট্রপতি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮
  • ১৯০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,মনিরুল ইসলাম দুলু, মংলা প্রতিনিধি: দুই দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় ফিরে গেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার বন্দরের নদীর চ্যানেল পরিদর্শন শেষে হেলিকাপ্টার যোগে ফিরে যান। বুধবার রাতে মংলা বন্দরের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় তিনি ৪ হাজার ৪ শত ৭৭ কোটি টাকা ব্যায়ে চীনের সাথে জি টু জি প্রকল্পের আওতায় মংলা বন্দরের উন্নোয়ন ও সম্প্রসারন,৪ শত ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি জেঠি নির্মান, ১১৯ কোটি টাকা ব্যায়ে পশুর চ্যানেলের ১৩ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ বাস্তবায়ন ও ১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়েল স্পিল রিকভারী ভেসেল, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্দর ভবনের সামনে অনুষ্ঠান স্থল থেকে এই চারটি প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন।
উদ্বোধন শেষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের উন্নত সমুদ্র বন্দর গুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে বন্দরের কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনতে হবে। এর কর্মকান্ড সহজতর ও সাশ্রয়ী করতে হবে। বন্দর গুলোকে লাভজনক এবং সার্বিক কর্মকান্ডে গতিশীলতা আনতে সমন্বিত উদ্যোগের আহবান জানিয়েছেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মংলা বন্দর হবে বিশ্বের অন্যতম সেরা বন্দর। এজন্য হয়রানি মুক্ত পরিবেশে বন্দর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুত মালামাল খালাস ও কার্গো হ্যান্ডেলিং সহজতর করতে হবে।
দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের সম্প্রসারণে নৌপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকতে বাণিজ্যের প্রতিটি স্তরে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনকে অর্থবহ করতে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর ব্যবহারকারী, কাসটমস ও বন্দরের অন্যান্য বিভাগের কর্মকান্ডে গতিশীলতা নিশ্চিতের আহবান জানান।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই বন্দরে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ বাড়ছে এবং ইতোমধ্যে বিদেশী জাহাজের আগমনও বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন যে, সংশ্লিষ্ট সকলে মংলা বন্দরের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। তিনি বিশেষ করে মংলা বন্দরের উন্নয়ন এবং এখানকার বিভিন্ন প্রকল্পে চীন ও ভারতসহ বাংলাদেশের বিদেশী বন্দরের সহায়তার জন্য তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক , মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসান ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সমিতির (সিবিএ) সভাপতি এম সাইজুদ্দিন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
রাষ্ট্রপতি পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কেক কাটেন এবং মংলা বন্দরের ওপর একটি ভিডিও উপভোগ করেন। এর আগে তিনি একটি গাছের চারা রোপন করেন। এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে খুলনা থেকে সড়ক পথে মংলা বন্দরে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় তিনি ৪ হাজার ৪ শত ৭৭ কোটি টাকা ব্যায়ে চীনের সাথে জি টু জি প্রকল্পের আওতায় মংলা বন্দরের উন্নোয়ন ও সম্প্রসারন,৪ শত ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি জেঠি নির্মান,১১৯ কোটি টাকা ব্যায়ে পশুর চ্যানেলের ১৩ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ বাস্তবায়ন ও ১৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ওয়েল স্পিল রিকভারী ভেসেল ,আজ সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্দর ভবনের সামনে অনুষ্ঠান স্থল থেকে এই চারটি প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি সপরিবারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং বন্দরের রেস্ট হাউস ‘পারিজাতে’ রাত্রি যাপন করে বৃহস্পতিবার সকালে বিলাসবহুল জাহাজে করে পশুর নদীর চ্যানেল পরিদর্শন করেন।পরে বিকেল ৪টার দিকে হেলিকাপ্টার যোগে ঢাকায় ফিরে যান । ।
উল্লেখ্য ১ ডিসেম্বর বন্দর প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হলেও রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে তা পিছিয়ে ৪ এপ্রিলে আনা হয়েছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com