বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: আমেরিকার সামাজিক সংস্কৃতির একটি অদ্ভূত ও অবিচ্ছেদ্য অংশ আজ সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আর মাত্র ৪ দিন পর, অর্থাৎ অক্টোবরের ৩১ তারিখ সন্ধ্যায় এ দেশে বিপুল সমারোহে পালিত হবে ‘হেলোউইন’ উৎসব। এ উৎসবের অনেকগুলো দিক আছে যার কিছু কিছু আমি জানি, সব কিছু সম্মন্ধে আমার স্পষ্ট ধারণা নেই।
প্রথমত, এ উৎসবের আয়োজন অন্তত এক মাস আগেই জোরেশোরে শুরু হয়ে যায়। অক্টোবরের প্রথম থেকেই ছোটবড় প্রায় সব রকমের দোকানপাটে গেলে দেখতে পাবেন নানা জাতের ভৌতিক জিনিসপত্র ধুমসে বেচাকেনা হচ্ছে। যা দিয়ে তারা ঘরবাড়ি সাজায়। নিচের প্রথম ছবিতে দেখুন একটি বাড়ি কী ভাবে সাজানো হয়েছে। এ উৎসবের সঙ্গে খ্রিস্টান ধর্মের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, আমি জানি না, তবে তারা মনে করে এই রাতে ভূত-পেত্নীরা সব বের হয়, এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করে এবং মানুষের ঘরে ঘরে হানা দেয়। ভূত তাড়াবার জন্যই এ ভাবে বাড়িঘরকে সাজানো হয়।
‘হেলোউইনে’ ধনী-গরিব, শহর-নগর নির্বিশেষে সমাজের সকল স্তরের মানুষ আপন আপন সামর্থ অনুযায়ী অংশগ্রহণ করে থাকে। ঘরে ঘরে সবাই নানান জাতের ক্যান্ডির ভাণ্ড নিয়ে বসে। সূর্য ডোবার সাথে সাথে পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ঢল নামে। তারা দলে দলে বাড়ি বাড়ি যায় আর মনের আনন্দে দু’হাত ভরে ক্যান্ডি আহরণ করে। রাত ১০/১১টা পর্যন্ত চলে ক্যান্ডি কুড়ানোর পালা। ঘরে ফিরেও বাচ্চারা ঘুমোতে চায় না। সারারাত ক্যান্ডি গুনে, ক্যান্ডি মিলায়, ক্যান্ডি সাজায়,ক্যান্ডি খায়।
এ উৎসবের আরেকটি বড় অনুষঙ্গ হলো ‘পাম্পকিন’ কিংবা ‘মিষ্টি কুমড়া’। পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে ক্ষেতখামার, হাটবাজার, দোকানপাট, উপাসনালয়, ঘরবাড়ি সব জায়গায় মিষ্টি কুমড়ার ছয়লাব বয়ে যায়। মিষ্টি কুমড়াকে বিভিন্ন ভাবে তারা কাটে, ছাটে, এ দিয়ে ঘর সাজায়, এ দিয়ে হরেক রকমের খাবার বানায়, খায়ও।
প্রতি বছর এ সময় এলে আমরা যেখানে সেখানে ছোট বড় নানান রঙের, নানান আকৃতির, নানান ঢঙের অসংখ্য মিষ্টি কুমড়া দেখতে পাই। নিচের দ্বিতীয় ছবিতে দেখুন খড়ের উপর রাখা দু’টো তাজা মিষ্টি কুমড়া। এমন ‘কুমড়া’ দেখেছেন কখনও?
বাংলা৭১নিউজ/লেখক: আবু ওয়াহিদ