শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

হাওরে ছয় মাসে উৎপাদন হবে ১০ লাখ টন দুধ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

শুকনো মৌসুমে হাওরাঞ্চলের চারদিকে দেখা যায় সবুজের সমারোহ। মাঝখান দিয়ে চলে গেছে ‘অলওয়েদার’ সড়ক। সড়কের দুই প্রান্তে দিগন্ত বিস্তৃত পতিত জমি। যেখানে শতশত গরুর অবাধ বিচরণ। এ যেন গো-চারণভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এমন অপরূপ দৃশ্যের দেখা মিলবে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে।

বোরো চাষ, মাছ শিকারের পাশাপাশি ছয় মাস গবাদিপশু পালন করেন এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা। এসময় পুরো হাওরজুড়ে ঘাসের আধিক্য থাকায় বিনা খরচে গবাদি পশু লালন-পালন করে উপকৃত হোন প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করা এসব মানুষ। এই ছয় মাসে হাওরাঞ্চল থেকেই উৎপাদন হয় ১০ লাখ টন দুধ ও ছয় হাজার টন মাংস।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, বর্ষাকালে হাওরে গবাদি পশু লালন-পালন কমে যায়। বর্ষায় ১০ হাজার টন দুধ ও ৪ হাজার ৭০০ টন মাংস উৎপাদন হয়। আর শুকনোর সময় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দুধের পরিমাণ দাড়ায় ১০ লাখ টন। পাশাপাশি ছয় হাজার টন মাংস উৎপাদন হয় কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে।

ইসমাইল হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মিঠামইন উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওর জুড়ে এখন গবাদি পশুর বিচরণ। গরু-মহিষগুলো এই হাওরের স্থায়ী বাসিন্দা নয়। ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম থেকে নিয়ে এসেছেন প্রান্তিক কৃষকরা। রোজ সকালে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরের গ্রাম থেকে গরুগুলোকে আনা হয়।

আবার গরুগুলোর জন্য হাওরেই বানানো হয় অস্থায়ী তাঁবুর মতো ডেরা। শুকনা মৌসুমে হাওরে অস্থায়ীভাবে গরু লালন-পালনের পুরোনো প্রচলিত একটি পদ্ধতি হচ্ছে এই ‘বাথানব্যবস্থা’। বিকেলে গরুর ছোট ছোট পালের দেখা মেলে এখানে। একেক পালে ৫-১০টি গরু থাকে।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পণ্ডিত জানান, পানি কমে যাওয়ার পর শুকনো মৌসুমে হাওরের বুকে বিভিন্ন জাতের ঘাস বেড়ে ওঠে। সেই ঘাসকে পুঁজি করে ছয় মাস গরু লালন-পালন করে থাকেন এখানকার কৃষকরা।

প্রাকৃতিক উপায়ে সবুজ ঘাসের মাধ্যমে মোটাতাজা করায় অল্প খরচে অধিক লাভ হয় তাদের। জেলায় উৎপাদিত দুধ ও মাংসের ১৫ শতাংশ আসে হাওরাঞ্চল থেকে। হাওরে প্রাকৃতিক ঘাস খাওয়ানোর মাধ্যমে নিরাপদ পদ্ধতিতে দুধ ও মাংস উৎপাদনে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com