বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

স্বামী হারা জাবেদা ভিক্ষার ১৩ হাজার টাকা দিলেন মসজিদে

যশোর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

বিধবা মেয়ে ও এক নাতনীকে নিয়ে কষ্টের সংসার বৃদ্ধা জবেদা বেগমের। ভিক্ষা করে পেট চলে তার। ভিক্ষাবৃত্তি সমাজের চোখে সম্মানহীন হলেও জবেদার বেলায় সেটি ভিন্ন হয়ে উঠেছে। এই বৃদ্ধা সমাজের চোখে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণার উৎস। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে পাড়ার মসজিদে তিনি অনুদান দিয়েছেন ১৩ হাজার টাকা। এরপর থেকেই গ্রামে আলোচিত ব্যক্তি হয়ে উঠেন তিনি। জবেদা বেগম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত চিনেতুল্লা বিশ্বাসের স্ত্রী। ২৫ বছর আগে অসুস্থ হয়ে মারা যান তার স্বামী। বেঁচে থাকতে তিনিও ভিক্ষা করতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ভিক্ষাবৃত্তিতে নেমে পড়েন জবেদা। 

বৃদ্ধার পাঁচ মেয়ে। সবাইকে বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কপালের ফেরে তার চতুর্থ নম্বর মেয়ে শাহানারা খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা হন। নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে আফরোজা খাতুনকে নিয়ে আছেন বাপের ভিটায়। মায়ের সংসারে থেকে জুটমিলে কাজ করেন শাহানারা।
বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন জবেদা বেগম (৮০)। এখন আর পাড়া ঘুরতে পারেন না। সপ্তাহে আশপাশের হাটগুলোতে ভিক্ষা করেন। যা পান তা থেকে কোনও রকম পেট চালিয়ে বাকিটা জমিয়ে রাখেন।

জমানো টাকা দান করেন মসজিদ ও ওয়াজ মাহফিল বা উরশে।জবেদা বেগম বলেন, পাড়ার বাগডাঙ্গা মসজিদে ১০ হাজার, বাগডাঙ্গা বাজার মসজিদে এক হাজার, দহকুলা মসজিদে এক হাজার, মাছনা মাদরাসায় এক হাজার ও পাড়ার ঈদগাহ মাঠের সভায় ৫০০ টাকা দিয়েছি। কোনও কিছু পাওয়ার আশায় নয়। মন চাইছে তাই দান করেছি। আমারে আল্লাহ দেবে।জবেদা বেগমের দানের বিষয়টি অনেক দিন গোপন ছিল। সম্প্রতি ‘প্রিয় বাগডাঙ্গা’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বৃদ্ধার ছবিসহ তার দানের বিষয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়। তখন জানাজানি হলে আলোচনায় আসেন তিনি।স্বামীর রেখে যাওয়া পাঁচ শতক ভিটায় মাটির ঘরে বসবাস জবেদার।

বিধবা ভাতা ছাড়া সরকারি কোনও সুবিধা পান না। জবেদার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে শাহানারার নামে দশ টাকার একটি চালের কার্ড ছিল। একবার চাল তোলার পর স্থানীয় মহিলা মেম্বার লতিফা বেগম নামটি কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় আব্দুর জব্বার জানান, মসজিদ পাকা করার জন্য আমরা গ্রাম ভিত্তিক টাকা তুলতে ছিলাম। তখন জাবেদা নিজে এসে বাগডাঙ্গা মসজিদে ১০ হাজার ও দহকুলা মসজিদে এক হাজার টাকা দিয়ে যান। তা দেখে আমরা উৎসাহিত হই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, জবেদা সরকারি ঘর পাওয়ার যোগ্য। আমরা চাই তিনি যেন সরকারি ঘর পান। তার যেনও শেষ বয়সে আর ভিক্ষা করতে না হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com