বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: করোনার কারণে সৃষ্ট সংকট এবং সাথে সাথে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম গত বছরের তুলনায় বর্তমানে ব্যারেল প্রতি এক-তৃতীয়াংশে নেমে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, সে কারণে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ৬টি দেশ থেকে ১৫ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিককে স্বল্পতম সময়েই বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐ দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে ভিডিও বার্তায় বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ২৯ হাজার বাংলাদেশী দেশে ফিরে আসবেন। গত সপ্তাহেই দেশে ফিরে এসেছেন প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশী।
ঢাকায় প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই অভিবাসী শ্রমিকদের ঐসব দেশ থেকে বিদায় করে, শতকরা ৭০ শতাংশ চাকরি নিজ দেশের নাগরিকরাই করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সৌদিতে কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিক। ফাইল ছবি
সৌদি আরব পর্যায়ক্রমিকভাবে অভিবাসি শ্রমিক বিতাড়নের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে কমপক্ষে ১০ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিককে বিতাড়ন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
কুয়েতের কারাগারে রয়েছে সাড়ে ৪ হাজার বাংলাদেশী; তাদেরও যে কোন সময় দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া বড় ধরনের বিতাড়নের পরিকল্পনাও রয়েছে দেশটির। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানকারী ৮ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে বিদায় করা হবে।
ওমান, জর্ডান ও বাহরাইন থেকেও বাংলাদেশীসহ অভিবাসীদের বিতাড়নের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করবে ঐ দেশগুলো। মধ্যপ্রাচের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশী বিতাড়নের ধাক্কাটি বেশ সংকটে ফেলবে বাংলাদেশকে।
এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি ফর মাইগ্রান্টস-এর চেয়ারপারসন ড. সি আর আবরার।
বর্তমানে ৭০ লাখের বেশি বাংলাদেশী শ্রমিক রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এরমধ্যে সৌদি আরবেই রয়েছেন ২৩ লাখের মতো বাংলাদেশী।
বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র: ভোয়া