সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোহাম্মাদ ফারুক (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই মোহাম্মদ ইমন।
মৃত ফারুক চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তার স্ত্রী ও দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা পাগলপ্রায়। জানা যায়, স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মক্কা নগরী থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে আল লাম লাম (মিকাত) নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ ফারুক মারা যান। তিনি বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের আনন্দপুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাড়ির মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে।
ইমন জানান, সাত বছর আগে তার ভাই সৌদি আরবে যান।
সর্বশেষ দেড় বছর আগে দেশে ছুটি কাটিয়ে ফের সৌদি যান তিনি। ফারুক সৌদি আরবে গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করতেন। বুধবার রাত দেড়টায় সৌদি আরবে থাকা তার ফুফাতো ভাই দুলাল ফোন করে জানান, ইমন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মিকাত নামক স্থানে দুটি প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ফারুক নিহত হন।
তিনি আরো জানান, সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার চালিয়ে ফারুক বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সৌদি আরবে থাকা নিহত ফারুকের নিকটাত্মীয় মো. শাহ আলম শাহপরান জানান, ফারুক ওই এলাকায়ই বসবাস করতেন। তিনি রাতের খাবারের জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন। বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি সড়কে গাড়ি ইউটার্ন নিয়ে রাস্তায় ওঠার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে নিহতের মরদেহ দেশে আনার জন্য ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ফারুকের লাশ দেশে আনাসহ তার পরিবারকে সহযোগিতা করার বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ