সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০১:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

সংবিধান ও আইন মেনেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে আলোচনা না করে কারাগারে কোর্ট স্থাপন করে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি বিধিসম্মত নয় বলে যে বিতর্ক চলছে তা দু:খজনক বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তিনি আজ বুধবার বাংলা৭১নিউজকে  বলেন, যারা সমালোচনা করছেন তারা জেনেশুনেই আইনের সঠিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না।

সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ।

আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রয়োজনে এবং বিচার কার্যের সুবিধার্থে যে কোন স্থানে আদালত স্থাপন করতে পারেন। তিনি বলেন, মূলত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে।তিনি বলেন,  এটা ক্যামেরা ট্রায়াল যারা বলছেন তারা আইনের অপব্যখ্যা করছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে, ওই প্রজ্ঞাপনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির সব কারণই স্পষ্ট করে বলা আছে। তিনি বলেন, ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞা হচ্ছে- যেখানে কাউকে কোনো ‘পাবলিক বা মিডিয়া’কে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যেখানে শুধু বিচারক, আসামি আর প্রয়োজন হলে তাঁর আইনজীবীকে রাখা হয়। এমনকি তাঁর কোনো তথ্যাদি প্রকাশও করা যাবে না। এমন যদি হয়, তাহলে ক্যামেরা ট্রায়াল হয়।

আইনমন্ত্রী একজন আইন বিশেষজ্ঞর নাম উল্লেখ না করে বলেন, কারাগারে আদালত স্থাপন নাকি সংবিধান সম্মত হয়নি। এর জবাবে তিনি সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদটি তুলে ধরেন।

‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডউর’ এর সেকশন ৯ এর ১ ও ২

এই অনুচ্ছেদে বলা আছে- সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে অপরাধ হিসেবে কার্য সংঘটনকালে বলবৎ আইন ভঙ্গ করার অপরাধ ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না এবং অপরাধ সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দন্ড দেয়া যেত তাকে তার অধিক বা তা থেকে বিবেচ্য ভিন্নতর দন্ড দেয়া যাবে না। ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনত প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী। কোনো ব্যক্তিকে অত্যাচার করা কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দন্ড দেয়া বা তার সঙ্গে তদ্রূপ  ব্যবহার করা যাবে না।

এপ্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়িই প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে। এখানে সংবিধানের লংঘন তারা কোথায় দেখলেন, তা বোধগম্য নয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডউর’ এর সেকশন ৯ এর ১ ও ২ উপস্থাপন করে বলেন, সরকার প্রয়োজন মনে করলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে যে কোন স্থানে আদালত স্থাপন করতে পারেন।

তিনি প্রত্যাশা করেন, কারাগারে কোর্ট স্থাপন করে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি বিধিসম্মত নয় বলে যে বিতর্ক উঠেছে আসা করি তার অবসান ঘটবে।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com