বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করে ইরি-বোরো চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি: শীত আর ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে গাইবান্ধায় শুরু হয়েছে ইরি-বোরো চাষাবাদ। শীতে ইরি-বোরোর চারা নষ্ট হলেও রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

কৃষকদের অভিযোগ, শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে বেশি টাকা চাচ্ছেন শ্রমিকরা। মৌসুমের শুরুতেই বেড়ে গেছে ধান চাষের উৎপাদন খরচ। খরচ বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী নেই কৃষকের ধানের দাম। বছর বছর উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়ে না ধানের দাম। উল্টো কমে যায়। এজন্য হতাশ কৃষকরা।

তবে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, শীতের কারণে ইরি-বোরোর চারা নষ্ট হলেও সংকট হবে না। এবারও ইরি-বোরোর চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। শ্রমিক ও উৎপাদন খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ধানের দামও।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গাইবান্ধার সাত উপজেলায় পুরোদমে ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ জমি চাষ দিয়ে প্রস্তুত করছেন, কেউ বীজ তুলছেন আবার কেউ চারা লাগাচ্ছেন।

কৃষকরা জানিয়েছেন, জমি চাষ, সার, কীটনাশক, শ্রমিকদের মজুরি ও সেচের পানিসহ সব কিছুর দাম বেশি। উৎপাদন খরচ অনুয়ায়ী ধানের দাম কম। গত বছর দুবার বন্যার সঙ্গে যুদ্ধ করে ভালো ফলন হলেও মেলেনি উপযুক্ত দাম। বাঁচার তাগিদে শীত ও সব খরচ উপেক্ষা করে ইরি-বোরোর চাষ করছেন কৃষকরা।

jagonews24

সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের বুরুঙ্গি গ্রামের কৃষক রশিদ বলেন, ভালো ফলনের আশায় শীত ও উৎপাদন খরচ উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রম করছি আমরা। এরপরও ধান বিক্রির সময় উপযুক্ত দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এখন ধান চাষ করে উৎপাদন খরচই ওঠে না।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক আবুল বলেন, ধান চাষ করে ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চালানো এখন খুবই কষ্টকর। কারণ সরকারিভাবে লটারিতে ধান কেনা হলেও ন্যায্য দাম পাই না আমরা। নির্দিষ্ট ধান চাষিদের তালিকা না করে একসঙ্গে সব কৃষক ও চাষির অংশগ্রহণে লটারি করা হয়। এতে বেশিরভাগ চাষি ধান বিক্রি থেকে বঞ্চিত হন।

সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের চাষি মানিক বলেন, হাড় কাঁপানো শীত আর কুয়াশাযুক্ত মাঠে কাজ করতে বেশি টাকা নিচ্ছেন শ্রমিকরা। প্রতি বস্তা ইউরিয়া সারের দাম ৮০০ টাকা, জমিতে সেচ দিতে খরচ ১৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা, বীজ বোপন, চারা রোপণ ও জমিতে চাষ দিয়ে অতিরিক্ত খরচ নেয়া হয়। বোরো মৌসুমের শুরুতেই বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। ধান কাটার সময় দেখা যাবে বাজারে দাম নেই। তখন আমাদের সব কষ্ট মাটি হয়ে যায়।

সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের কৃষিশ্রমিক জামাল আলী বলেন, শীত আর কুয়াশায় মাঠে কাজ করা অনেক কষ্টকর। সংসার চালানোর তাগিদে কাজ করতে হয়। তবে শ্রমিকদের দাম বেশি। আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, এ বছর এক লাখ ৩০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শীতের কারণে ইরি-বোরোর চারা নষ্ট হলেও সংকট হবে না। এবারও ইরি-বোরোর চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

তিনি বলেন, শ্রমিক ও উৎপাদন খরচ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ধানের দামও। কাজেই কৃষকদের হতাশ না হয়ে বোরো চাষ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/জেআই

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com