বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

শাস্তির বিধানসহ ‘অফশোর ব্যাংকিং আইন ২০২৪ এর খসড়া’ প্রণয়ন

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান কিংবা আইন অমান্য করলে অনধিক ৫ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রেখে দেশে অফশোর ব্যাংকিং আইন ২০২৪ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।

সুত্র জানায়, সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধার আওতায় আসছে দেশে অফশোর ব্যাংকিং। এই ব্যবসায় নিয়োজিত সরকার বা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত কোনো ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট এই সুবিধা ভোগ করবে। সেই সঙ্গে একই ধরনের সুবিধা পাবেন অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের আমানতকারী ও বৈদেশিক ঋণদাতারা।

খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্স ইস্যুর তারিখ থেকে ছয় মাস কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের কার্যক্রম শুরু করতে হবে, অন্যথায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।

এতে বলা হয়েছে, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান কিংবা কোনো আইন অমান্য করলে অনধিক ৫ হাজার ডলার বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি অর্থ জরিমানা এবং আইন লঙ্ঘন পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১০০ ডলার বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি অর্থ জরিমানার বিধান থাকবে এই আইনে। আইন লঙ্ঘনের মাত্রা অনুযায়ী অনধিক দুই হাজার ডলার এবং আইন লঙ্ঘন পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১০০ ডলার বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি অর্থ জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে।

খসড়া আইন অনুযায়ী, অন্য আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট কর্তৃক অর্জিত সুদ বা মুনাফার ওপর আয়কর বা অন্য কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কর আরোপ করা যাবে না। আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের প্রদেয় সুদ বা মুনাফার ওপরও এই বিধান প্রযোজ্য হবে। এছাড়া আমানতকারী বা বৈদেশিক ঋণদাতাদের হিসাবের ওপর কোনো প্রকার শুল্ক ও লেভি আরোপ করা যাবে না।

বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যক্তি অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসা করতে পারবে না। অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় আগ্রহী ব্যাংককে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারী ব্যাংকের বাংলাদেশের বাইরে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্ক থাকতে হবে। আবেদনকারী ব্যাংকের নির্দিষ্ট বা সামগ্রিক কার্যক্রম এবং অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা যাচাইয়ের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্স দেবে।

দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো স্থানে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট স্থাপন করা যাবে। কার্যক্রম শুরুর সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করতে হবে। অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত গাইড-লাইনের আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পর্ষদের অনুমোদিত নিজস্ব নীতিমালা থাকতে হবে। অন্যদিকে লাইসেন্সে উল্লেখিত কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে বা আপাতত বলবৎ কোনো আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে বা কৃত কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে বা জনস্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে।

এছাড়া স্বেচ্ছায় লাইসেন্স সমর্পণেরও বিধান রাখা হয়েছে আইনে। লাইসেন্সধারী অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের সব দায়ের বিপরীতে পর্যাপ্ত সংস্থান থাকলে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্স সমর্পণের অনুমোদন দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।  অন্যদিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের দায়-দেনা নিষ্পত্তি করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক। লাইসেন্স বাতিল কিংবা লাইসেন্স সমর্পণের দুই বছর পর পুনরায় লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করা যাবে।

অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পর্কে খসড়ায় বলা হয়েছে, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটগুলো শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে আমানত গ্রহণের পাশাপাশি তাদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ, ঋণপত্র ও গ্যারান্টি সুবিধা প্রদান, বিল ডিসকাউন্টিং, বিল নেগোশিয়েটিং এবং অন্যান্য বৈদেশিক বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বহিঃলেনদেন সেবা দিতে পারবে। তবে মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় জারিকৃত নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।

খসড়া অনুযায়ী, শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত পদ্ধতি পরিপালন সাপেক্ষে অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।

ব্যক্তির ক্ষেত্রে অ-নিবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি ব্যক্তির কাছ থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটগুলো শুধু আমানত গ্রহণ করতে পারবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত পদ্ধতি পরিপালন সাপেক্ষে নিবাসী বাংলাদেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মধ্যম বা দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ও অগ্রিম বা বিনিয়োগ মঞ্জুর করা যাবে এবং ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নিবাসী বাংলাদেশিদের আমদানি এবং প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন রফতানি পণ্যের ক্ষেত্রে ইউজেন্স বা ডেফারড রফতানি বিল ডিসকাউন্ট বা ক্রয় করার সুবিধা দেওয়া যাবে।

আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসাব পরিচালনার বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, নিবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তি এবং ইপিজেড, পিইপিজেড, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্ক ও অন্যান্য অনুমোদিত বিশেষায়িত অঞ্চলে পরিচালিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কোনো অ-নিবাসীর পক্ষে ‘আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসাব’ শিরোনামে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব পরিচালনা করতে পারবে।

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট যেকোনো অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রায় এ হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। তবে এ হিসাবের অধীনে খোলা হিসাব শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রাপ্ত অন্তর্মুখী রেমিট্যান্সের অর্থ জমা হবে এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংক হিসাবধারী রেমিট্যান্স প্রেরণকারী অ-নিবাসীর সহায়তাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ হিসাবে জমাকৃত আমানত প্রয়োজনীয় পরিশোধ ও বিনিয়োগের লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিটে স্থানান্তর এবং সুদ বা মুনাফাসহ স্থিতি প্রয়োজন অনুযায়ী রেমিট্যান্স প্রেরণকারীর অনুকূলে বিদেশে পাঠানো যাবে।

অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের সীমাবদ্ধতার বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, আইনে নির্দেশিত লেনদেন ছাড়া অন্য কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ফান্ডেড বা নন-ফান্ডেড ব্যাংকিং লেনদেনে জড়িত হওয়া যাবে না; অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের নামে আমানতকারী দ্বারা উত্তোলিত চেক, ড্রাফট, পে-অর্ডার বা অন্য কোনো দলিলের বিপরীতে চাহিদার ভিত্তিতে পরিশোধযোগ্য আমানত বা ঋণ গ্রহণ করা যাবে না এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ বা বিশেষ অনুমোদন ছাড়া অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং ইউনিটে তহবিল স্থানান্তর করা যাবে না। এছাড়া ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে ঋণসুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সমসাময়িক অর্থ ব্যবস্থার গতিবিধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা সম্পর্কিত বিধান করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এটি অনুমোদিত হলে ইতঃপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অফশোর ব্যাংকিং সংক্রান্ত জারিকৃত সব সার্কুলার রহিত হয়ে যাবে। তবে বর্তমানে দেশে ব্যবসারত যেসব তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট রয়েছে তাদের নতুন করে লাইসেন্স নিতে হবে না। ইতঃপূর্বে অনুমোদনপ্রাপ্ত বিদ্যমান সব অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট নতুন আইনের আওতায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত বলে গণ্য হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com