শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

শরীয়তপুরে বাড়ছে রবি ফসল ‘কালোজিরা’র চাষ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সব রোগের মহৌষধের কথা বললে প্রথমে চলে আসবে ‘কালোজিরা’র নাম। এটি যেমন মসলা হিসেবে পরিচিত; তেমনই বহু গুণে গুণান্বিত। দিন দিন কালোজিরার ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বাজারে চাহিদাও বেড়েছে কয়েক গুণ।তাই তো শরীয়তপুর জেলায় রবি ফসল হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছি ফসলটি। লাভজনক ফসলটি চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন স্থানীয়রা।

শরীয়তপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তর জানায়, গত মৌসুমে জেলার ছয়টি উপজেলায় ৩ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে কালোজিরা চাষ হয়েছে। যা প্রতি হেক্টর জমিতে ১ টন করে উৎপাদন হয়েছিল। এ বছর জেলায় কালোজিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭২০ হেক্টর। তবে চলতি মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ২০০ হেক্টর জমির চাষ কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫২০ হেক্টর। চাষ কমলেও ফলন হয়েছে সন্তোষজনক। যা অন্য বছরের তুলনায় হেক্টর প্রতি বাড়বে বলে ধারণা কৃষি বিভাগের।

সরেজমিনে জানা যায়, মাঠজুড়ে কালোজিরার হালকা নীলাভ বর্ণের ফুলে ছেয়ে আছে। এর মধ্যে কিছু কিছু ফল পুষ্ট হয়েছে। বেশিরভাগ ফলই তেলবীজে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সদর উপজেলার বিলাসপুর এলাকার কৃষক মাহতাবউদ্দিন শেখ (৬৬)। গত বছর ৫০ শতাংশ জমিতে করেছিলেন গম চাষ। তবে বাজারে ভালো দাম না পাওয়ায় তেমন একটা লাভের মুখ দেখেননি। এ বছর একই জমিতে করেছেন কালোজিরা চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন এ কৃষক।

মাহতাবউদ্দিন শেখ বলেন, ‘মৌসুমের প্রথমে বৃষ্টি হওয়ায় ভাবছিলাম কালোজিরা বুনতে পারবো না। তবে আল্লার ভরসায় পরে বুনেই ফেলছিলাম। এত ভালো ফলন হবে কল্পনা করি নাই। বাজারে কালোজিরার বেশ ভালো দাম। আশা করছি, এইবার অনেক বেশি লাভবান হতে পারবো।’

জাজিরার মূলনা এলাকার কৃষক শাহজালাল ঢালী বলেন, ‘একসময় আমাদের এলাকায় কালোজিরার চাষ বন্ধ রেখেছিলাম। ধনিয়া আর সরিষাই বেশি চাষ করতাম। এখন কালোজিরার চাষ বাড়িয়ে দিয়েছি। বাকিসব ফসলের চাইতে কালোজিরার দাম অনেক বেশি। এতে আমরা বেশি লাভ করতে পারি।’

একই এলাকার রমজান বেপারী বলেন, ‘আমার পাশের জমির মালিক গত বছর কালোজিরা চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছিল। তাই এ বছর আমিও ১০ শতাংশ জমিতে কালোজিরা চাষ করলাম। ফলন দেখে মনে হচ্ছে, এবার অনেক বেশি লাভ করতে পারবো। আগামীতে আরও চাষের ইচ্ছা আছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান বলেন, ‘কালোজিরা একটি লাভজনক ফসল। ওষুধি গুণাগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশ ভালো। দিন দিন কৃষকদের মাঝে ফসলটি দারুণ সাড়া পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে আমাদের পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় গড় ফলন বেশ ভালো হওয়ায় উৎপাদন অনেক বাড়বে। কৃষির বিভাগের পক্ষ থেকে উৎপাদন বাড়াতে প্রতিটি উপজেলায় কৃষকদের পরামর্শের পাশাপাশি প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com