খরচ কম লাভ বেশী এমন প্রেক্ষাপটেই উত্তরের সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটের কৃষকেরা প্রতি বছরেই মুলা চাষ করে। সবই অনুকূলে থাকায় ফলনও হয় বাম্পার। দাম না থাকায় সেই মুলাই যেন তাদের গলায় ফাঁসের মতই হয়ে পড়েছে।
কয়েক দফা বন্যা আর করোনার ধকলে আর্থিক সংকট পুষিয়ে নিতে এবার লালমনিরহাটের কৃষকেরা মুলা চাষে ঝুঁকে পড়ে। মৌসুমের শুরুতেই মুলার মূল্যে কদর থাকলেও এখন আর তেমন অবস্থা নেই। সরাসরি ক্ষেত থেকে পাইকাররা কিনছেন মুলা।
একই সময়ে অধিকাংশ ক্ষেতের মুলা উঠায় বিষয়টি সমস্যা ফেলেছে চাষিদের। এক কেজি চালের দামেও বিক্রি হচ্ছেনা একমন মুলা। এ অবস্থায় অনেকেই ক্ষেতেই মুলা রেখে চাষ করছেন জমি। সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচ সহ মুলা চাষে বিনিয়োগকৃত পুঁজি হারিয়ে চাষিরা রয়েছে মারাত্মক হতাশায়।
তবে ওই জমিতেই ভুট্টা ও আলু আবাদের পরামর্শ কৃষি কর্মকর্তা দের। তারা বলছেন, জেলার জমি মুলা চাষের উপযোগী ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন বেশী হওয়ার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এবারে শুধুমাত্র সদর উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে মুলার চাষ ও হেক্টরে ৩২ মেট্রিকটন মুলা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এদিকে জেলায় ৩৬৯ হেক্টর জমিতে গড়ে ২৫ মেট্রিকটনের উৎপাদনের টার্গেটে এবারে ৯ হাজার মেট্রিকটন মুলার ফলন হবার কথা জানান জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র।
বাংলা৭১নিউজ/এমএন