বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দুই বাসের চাপে তিতুমীর কালেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত হারানোর মামলায় দুই বাস চালকের জামিন ফের নাকচ করেছেন আদালত। রোববার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
আসামিরা হলেন- বিআরটিসি বাস চালক অহেদ আলী ও স্বজন বাসের চালক মো. খোরশেদ।
আদালত সূত্র জানায়, শিক্ষার্থী রাজীব মতিঝিল থেকে বিআরটিসি দোতলা বাসে উঠে মহাখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হন। চলতি মাসের ৩ এপ্রিল দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহবাগ থানাধীন পান্থকুঞ্জ পার্ক সংলগ্ন রাস্তার ওপর পৌঁছানো মাত্রই বিআরটিসি বাসটি ট্রাফিক সিগন্যালে পরে।
এ সময় বাসের পেছনো দরজার কাছে দাড়ানো অবস্থায় জরুরী প্রয়োজনে রাজীব তার ডান হাত বের করেন। এরপর পরই হঠাৎ দ্রুত ও বোপরোয়া গতিতে পেছনোর দিকে থেকে স্বজন পরিবহনের বাস এসে বিআরটিসি বাসের সঙ্গে পাল্লাপাল্লি করে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। ওই সময় দুই বাসের চাপে রাজীবের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
রাজীবের চিৎকারে আশপাশোর লোকজন এসে বিআরটিসি বাস চালক অহেদ আলীকে আটক করে। আর সেখানে গাড়ি রেখে পালিয়ে যান স্বজন বাসের চালক মো. খোরশেদ। তবে তাকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৫ এপ্রিল আসামিদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৮ এপ্রিল দুই দিনের রিমান্ড শেষে ওই দুই চালককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ওই দিনই আসামিরা জামিন এ আবেদন করেন। ১৬ এপ্রিল জামিন শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করেন। শাহবাগ থানার এসআই মো. আফতাব আলী মামলাটি তদন্ত করছেন। এদিকে ১৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজীব মারা যান।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস