রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

যে কারণে ইতালিতে ফিরতে পারবেন না বহু বাংলাদেশি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২০
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাস মহামারির জন্য বেশ কয়েক মাস বিমান চলাচল বন্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশে এসে আটকে পড়েন বহু ইতালি প্রবাসী। গত ১৪ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশটিতে ফিরতে চাচ্ছেন এদের অনেকে। তবে টিকেট না পাওয়া, বসবাসের বৈধ ঠিকানা না থাকা এবং অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে ফিরতে পারছেন না অনেক প্রবাসী।

তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেও ইতালি সরকার জানিয়েছে, যেসব প্রবাসীর রেসিডেন্স কার্ড বা থাকার কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই, তারা আপাতত যেতে পারবে না। ফলে আবার আটকে পড়েন অনেক প্রবাসী।

ইতালিতে থাকা অভিবাসন কনসালটেন্ট আক্তারুজ্জামান বলেন, ছোট একটা কনফিউশন আছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইতালিতে ফেরার বিষয়ে। আর সেটি হচ্ছে কারো ইতালিতে অবস্থানের অনুমতির পাশাপাশি সেখানে বসবাসের জন্য একটি আবাসস্থল থাকতে হবে। আগে যে কোন প্রবাসী এটা নিজে নিজে ঘোষণা দিতে পারতো যে তার আবাসস্থল রয়েছে। কিন্তু এখন সেটা শুধু ঘোষণা দিলে হবে না, বরং সেটি প্রমাণ করে দেখাতে হবে।

তিনি বলেন, প্রবাসীরা এটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে পারবে।

অনেক বাংলাদেশি ইতালিতে বসবাস এবং কাজ করলেও নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা তারা সরকারিভাবে ব্যবহার করে না। যাদের অফিসিয়াল এ ধরনের কোন ঠিকানা নেই তারা এই মুহূর্তে যেতে পারবে না বলে জানান অভিবাসন বিষয়ক পরামর্শকরা।

তারা বলেন, ‘ইতালি সরকার বিষয়টিকে যেভাবে দেখছে তা হলো, যাদের নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, তার মানে হচ্ছে তাদের এখানে থাকার দরকার নেই। তাই আসারও দরকার নেই।

ইতালি প্রবাসী অভিবাসন বিষয়ক পরামর্শক আক্তারুজ্জামান বলেন, ইতালিতে অনেক বাংলাদেশি একসাথে কয়েকজন মিলে বসবাস করেন। সেক্ষেত্রে সবার অফিসিয়াল ঠিকানা থাকে না।

ইতালিতে ফিরতে হলে দেশটির সরকার যেসব শর্ত বেঁধে দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেশটির নির্ধারিত সংস্থাগুলো থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে, ইতালিতে পৌঁছানোর পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং ইতালিতে বাসস্থানের অনুমতি থাকতে হবে।

তবে অনেকে সেলফ ডিক্লারেশন দিচ্ছেন যে, তারা ইতালিতে পৌঁছে হয়তো কোন একটি বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকবে। তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানান পরামর্শকরা।

যাদের রেসিডেন্স কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদেরকে নতুন করে ভিসা নিয়ে ইতালিতে ফিরতে হবে। এক্ষেত্রে তারা দেশে ফেরার আগে কার্ডের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করে থাকলে সহজেই ভিসা পাবেন। আর তারা যে কোন ফ্লাইটে ফিরতে পারবেন। 

এদিকে, যাদের ইতালিতে কোন স্থায়ী ঠিকানা বা বাসস্থানের ঠিকানা নেই তারা চার্টার্ড ফ্লাইটে ফেরার প্রস্তুতি নিলেও, তাদের ফেরার অনুমতি দেয়া নিয়ে ইতালি সরকারের আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা নেই বলেও জানান অভিবাসন বিষয়ক পরামর্শকরা।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com