সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

মাগুরায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাগন আবাদ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৭
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, মাগুরা: মাগুরায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেক্সিকান ড্রাগন ফলের চাষ। মাগুরা হর্টিকালচারে পরীক্ষামূলক আবাদ সফল হওয়ার পাশাপাশি বাজারে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় স্থানীয় চাষিরাও এই আবাদের প্রতি ঝুঁকছে।

মাগুরা হর্টিকালচার সূত্রে জানা যায়, ড্রাগন ফল অত্যন্ত সুস্বাদু এবং এর ওষুধই গুণসম্পন্ন। এর রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে ফলটিতে। যে কারণে বাজারেও এর চাহিদা অনেক। তাছাড়া অল্পপূজি বিনিয়োগ করে যেকেউ এই ফলের আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। তাছাড়া চাষাবাদ সহজ এবং রোগবালাইয়ের আক্রমণ একেবারেই কম। গাছ রোপণের পর অল্পদিনেই গাছে ফুল আসে। গাছে ফুল আসার পর সাধারণত জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস ধরে দীর্ঘ ২০ বছর পর্যন্ত একটি গাছ থেকে ড্রাগন ফল আহরণ করা সম্ভব। যে কারণে শুরুতে গাছ রোপণের পর বাকি সময়গুলোতে অল্প পরিচর্যাতেই মূল্যবান ফলন ঘরে তোলা সম্ভব।

রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড়বড় বাজারগুলোতে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় মাগুরার চাষিরাও এই চাষের প্রতি অধিক আগ্রহ দেখাচ্ছে।

জানা যায়, মাগুরার প্রথম ড্রাগন ফল চাষি সদর উপজেলার রাউতড়া গ্রামের কৃষক শওকত হোসেন। ২০১৪ সালে তিনি মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার থেকে ৫ শত ড্রাগন ফলের চারা নিয়ে নিজের ৪০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেন। মাত্র ২০ হাজার টাকা ব্যয় করে আবাদ শুরু করলেও দুই বছর পরই সুফল পেয়েছেন। তার বাগানে এখন রঙিন ফলে ভরে উঠেছে।

শওকত জানান, ড্রাগন মেক্সিকান ফল হলেও মাগুরার মাটি এই ফলের আবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তাছাড়া অল্প পরিচর্যাতেই কেবলমাত্র জৈব সার ব্যবহার করে একজন কৃষক একটি গাছ থেকে ২০ বছর বা তারও অধিক কাল পর্যন্ত ফল সংগ্রহ করতে পারেন। যে কারণেই এই চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে স্থানীয় অনেকেই তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে আবাদ শুরু করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিপনন শাখা মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিধ মো. আমিনুল ইসলাম জানান, সমন্বিত মানসম্মত প্রকল্পের আওতায় মাগুরায় ২০১৪ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক আবাদ শুরু করা হয়। এবং আবাদ সফল এবং এটি লাভজনক হওয়ায় সাম্প্রতিককালে মাগুরায় ড্রাগন ফলের আবাদকে স্থানীয় চাষিরা অধিক গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ত্রিশটি ক্ষেতে এই ফলের আবাদ হচ্ছে। এই আবাদে উৎসাহী করে তুলতে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকেও কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

যেকোনো ব্যক্তিই এক বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ করে সব ধরনের খরচ বাদেই বছর শেষে দুই লাখ টাকার মুনাফা পেতে পারে। সেক্ষেত্রে এই আবাদ সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে দেশের কৃষকরা এই চাষ থেকে অধিক অর্থ উপার্জনে সক্ষম হবে বলেও তিনি জানান।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com