সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

মধুমতীর পানি বাড়ায় ভাঙনের কবলে ‘স্বপ্ন নগর’ আশ্রয়ণ প্রকল্প

খুলনা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

আমাগে মাথা গোঁজার ঠাঁই ‘স্বপ্ন নগর’ ভাঙতে ভাঙতে চইলা যাইতাছে। এরম ভাঙতে থাকলে আমরা কোথায় যামু? আতংক নিয়ে বলছিলেন খুলনার রুপসা উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্প ‘স্বপ্ন নগর’-এর বাসিন্দা হুরি বেগম। তার মতো বহু পরিবার নদীভাঙন আতংক নিয়ে দিনাতিপাত করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার রুপসা উপজেলায় ২০২০ সালে ভূমি-ঘরহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা। এ প্রকল্পে নির্মিত ঘর এলাকার নামকরণ করা হয় ‘স্বপ্ন নগর’। ২৮৬টি পরিবারের ঠাঁই হয় এখানে। প্রকল্প নির্মাণের সময় আঠারোবেকী নদীর পাড়ে ৯০০ মিটার অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়।

হঠাৎ মধুমতীর পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার খেয়াঘাটের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে বাঁধের প্রায় সাড়ে ৭০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্তত ৩০টি ঘর এখন ভাঙনের মুখে।

স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অস্থায়ী নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। বাঁধ দিলেও সেটি এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে প্রকল্পে আশ্রয় পেয়েছিলাম। এখন এ আশ্রয় হারালে আমাদের আবার পথেই থাকতে হবে’। আমরা একটু ক্ষেত-খামার শুরু করছি। ভালোই দিন কাটছিল। কিন্তু হঠাৎ নদীভাঙন আবার সবার মনে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, মধুমতীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিনে অস্থায়ী বাঁধের কিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের বাসিন্দারা ঘর হারানো ভয় নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।

খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা বলেন, আঠারোবেঁকী নদীতে ফের পানি বাড়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

রুপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুণ্ড ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com