রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

মধুমতির ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে নড়াইলের রামকান্তপুর গ্রাম

নড়াইল প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

মধুমতি নদী ভাঙনের ভয়াবহ রূপ দেখছে নড়াইলের রামকান্তপুর গ্রাম। ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমিসহ ২০ পরিবারের বসতবাড়ি। অব্যাহত ভাঙনের মুখে এখন পুরো রামকান্তপুর গ্রাম।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা মধুমতি নদী। নদীর অপর পাড়ে চর পড়তে শুরু করেছে। রামকান্তপুর গ্রামের উজানে চর পড়ে মধুমতি নদী বাঁক নিয়েছে।

সেই বাঁকের কারণে স্রোতের ঢেউ সরাসরি গ্রামটিতে এসে আঘাত করছে। এ কারণে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের ভয়ে গ্রামের অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে ভাঙন পাড়েই বসবাস করছে। 

রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল সরদার জানান, এখন যেখানে মধুমতি নদী রয়েছে সেখানেই ছিল তাদের ফসলের জমি। আমাদের এখানে অনেক পরিবার তিন-চার বারও ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে।

অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় গিয়ে বসতবাড়ি তৈরি করেছে। অসচ্ছলতার কারণে যারা শহরে বা অন্যত্র যেতে পারেননি, তারা বারবার বসতবাড়ি সরিয়ে নদীর পাড়েই বসবাস করছেন। ভাঙন বন্ধ করা না গেছে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে রামকান্তপুর গ্রাম।

রামকান্তপুর গ্রামের অনেকেই জানান, চলতি মাসে তৈয়েব শিকদার, মনির শিকদার, হামিদা বেগম, ছেয়ারন নেছা, তাহের আলী, তোয়াক্কেল মুছল্লি, মাসুদ মুসল্লি, জালাল সরদার, উজ্জ্বল সরদার, কওছার মোল্যা, শাহাবুদ্দিন মোল্যা, শহীদ মোল্যা, মহিউদ্দিন মোল্যা, সোহেল আহম্মেদ মোল্যা, দেলবার মোল্যা, শফি সরদার, বিপুল সরদার ও আলমগীর সরদারের বসতবাড়িসহ গাছপালা মধুমতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে বলেন, গত বছর থেকেই পাউবোর কাজ সীমিত হয়ে গেছে। বর্তমানে কোনো বরাদ্দ নেই। তাই ভাঙন রোধের কোনো পরিকল্পনা বা প্রকল্প এই মুহূর্তে নেওয়া যাচ্ছে না।

বাংলা৭১নিউজ/এসএকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com