সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি সেবার মান

বেনাপোল প্রতিনিধি :
  • আপলোড সময় শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৬৫ বার পড়া হয়েছে

যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে ৭ বছর আগে। হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি সেবার মান। প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসক ও স্টাফ না থাকায় উন্নতি হয়নি চিকিৎসাসেবার। নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ, এক্সরে- আল্ট্রাসনোর কোনো ব্যবস্থা।

মণিরামপুর হাসপাতালের আল্ট্রাসনো মেশিনটি বিকল দীর্ঘদিন। এক্সরে মেশিন সচল থাকলেও নেই টেকনিশিয়ান। সেবা নেই ডেন্টাল ইউনিটেও। প্যাথলজি বিভাগে ২০ প্রকার পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও সবগুলো জোটে না। সার্জিক্যাল ও অজ্ঞান করার ব্যবস্থা না থাকায় গর্ভবতীদের সিজারের ব্যবস্থা নেই নিয়মিত। জরুরি বিভাগে নেই পর্যাপ্ত লোকবল।

ফলে, বাইরের মানহীন ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারই রোগীদের ভরসা। মণিরামপুরের প্রায় পাঁচলাখ মানুষের সেবায় ২০১৫ সালের দিকে উপজেলা হাসপাতালটির বেড সংখ্যা ৩০ থেকে বেড়ে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এরপর রোগী ভর্তি ও খাবারের অনুমতি মিললেও লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ১০জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ ২৪ জন মেডিকেল অফিসারের মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন। আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদ খালি দীর্ঘদিন। ৩০জন নার্সের মধ্যে নেই ১০ জন।

এই হাসপাতাল পরিচালনায় রয়েছে নানা অনিয়ম। ১৫ জন চিকিৎসকের মধ্যে নানা অজুহাতে প্রতিদিন ৫-৭ জন থাকেন অনুপস্থিত। ১৪ জন সেকমোর প্রত্যেকের সপ্তাহে দুই দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্ব থাকলেও সেখানে যান না তারা। এছাড়া বহির্বিভাগ ও ভর্তি রোগীদের সেবাপ্রাপ্তি নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। ভর্তি হওয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয় না। বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য
হন।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগে কয়েক শিশু ভর্তি রয়েছে।
সাত মাসের শিশু মাহিদ ইসলামের মা রিয়া খাতুন বলেন, পাতলা পায়খানার কারণে শুক্রবার দুপুরে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ২৪ ঘণ্টা না যেতে চার প্রকারের ওষুধ কিনতে হয়েছে।

এই ওয়ার্ডের ভিতরের পরিবেশ নোংরা। বাথরুমের লাইট নষ্ট বেশ কয়েকদিন। এছাড়া বহির্বিভাগে রোগীর চাপ থাকলেও বেলা ১১টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় গ্যাসের ট্যাবলেট। রোগীদের এন্টাসিড বড়ি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। মোকমতলা খানপুর গ্রামের জাহানারা বেগম বলেন, গত সপ্তাহে একবার দাঁত তুলতে আইছি; হয়নি। আবার আসলাম। দাঁত তুলে দিচ্ছে না ডাক্তার।

ডেন্টাল ইউনিটে দায়িত্বরত প্যাথলজিস্ট আব্দুর রউফ বলেন, একমাস ধরে ডাক্তার নেই। ওষুধপত্র ও পর্যাপ্ত মালামাল না থাকায় রোগীদের ঠিকমত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, ৫০ শয্যা হাসপাতাল হলেও খাবার ছাড়া অন্য কিছু পাইনি আমরা। একবার চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাও কাজ করেছেন। সাড়া মেলেনি। আল্ট্রাসনো মেশিন দীর্ঘদিন নষ্ট। এক্সরে মেশিন ভাল আছে কিন্তু টেকনিশিয়ান নেই। ৩০ শয্যা হাসপাতালের জন্য চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা; একজনও নেই। সরবরাহ অনুযায়ী রোগীদের ওষুধ দেওয়া হয়।

বাংলা৭১নিউজ/পিকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com