রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

ভাইভা হলেও তদন্তের আগে ফল প্রকাশ হবে না

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪
  • ৩৭ বার পড়া হয়েছে

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৪৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ সংশোধন করে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। ফলে এই ৪৬ হাজার শিক্ষকের মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) যুক্ত করতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ (এসকে) মুর্শেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও অ্যাডভোকেট লিটন আহমেদ।

শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। ফলে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণে আর কোনো বাধা নেই।

তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় হাইকোর্টের দেওয়া তদন্ত আদেশ চলবে। একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করার আগ পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করতে পারবে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এর আগে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

এছাড়া প্রশ্নফাঁসমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা রিটের বিষয়ে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট পিয়া জান্নাতুল, অ্যাডভোকেট লিটন আহমেদ ও ব্যারিস্টার খুররম খান মুরাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি দাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

ওইদিন ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য সার্কুলার হয়। এ পরীক্ষায় সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশ অনেককে গ্রেফতারও করে। তারা প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার বিষয়ে দায় স্বীকারও করেছেন।

তিনি বলেন, এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোনো অনুসন্ধান তো দূরের কথা, কিছুই করেনি। বরং তারা এতবড় ঘটনা ইগনোর করে সামনে এগিয়ে ভাইভা নিচ্ছেন। এখন আমাদের বক্তব্য হলো- প্রশ্নফাঁসের ঘটনা দিবালোকের মতো পরিষ্কার, সে ঘটনায় কেউ তদন্তও করলো না। আমাদের ধারণা এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত থাকতে পারেন। এজন্য আদালতে আমরা রিট দায়ের করি।

গত ২৯ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে।

পরে এ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া জুয়েল রতন দাসসহ ১৫ জন রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

এই পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নের উত্তরপত্র ও ডিভাইসসহ মাদারীপুরে সাতজন ও রাজবাড়ীতে একজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। দুই জেলায় আলাদাভাবে মামলা দায়ের করেন সংশ্লিষ্টরা। রাজবাড়ীতে আটক হওয়া পরীক্ষার্থী আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

প্রশ্নফাঁসের পরও গত ২১ এপ্রিল রাতে ফল প্রকাশ হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এরপরই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন ১৫ পরীক্ষার্থী।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com