বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনার পরে রাসায়নিকের গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কেরানীগঞ্জে তাঁদের জন্য জায়গাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি হননি। একে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি আধা ঘণ্টা অবস্থান করেন। এ সময় তিনি সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা কেরানীগঞ্জে আধুনিক গোডাউন করে দিতে চেয়েছিলাম। কারণ, রাসায়নিকের গুদামজাতকরণে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়।’ ওই প্রকল্প অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে চান বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া পুরান ঢাকার সরু রাস্তাগুলো নতুন করে করার কথা বলেন তিনি।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের স্বজনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চুড়িহাট্টার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু পানির সংকট দেখা দিয়েছিল। খাল, বিল, পুকুর ভরাট করায় পানি পেতে অসুবিধা হয়েছে। হেলিকপ্টার দিয়েও আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তা দূরে ছিল।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের সুচিকিৎসার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তিদের বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। তাদের যেকোনো সময় সংক্রমণ হতে পারে। এ ঘটনায় উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সাংসদ হাজী সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের স্বজনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বুধবার রাত ১০টার পরেই পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওয়াহেদ ম্যানশন থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবনে। সরকারি তথ্য অনুসারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে ৬৭ জন। অগ্নিদগ্ধ নয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
বাংলা৭১নিউজ/বাক