শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

বৃষ্টিতে শহর রক্ষা বাঁধে ধস, বন্যা আতঙ্কে মানুষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

দেশের উত্তরের জনপদ গাইবান্ধায় সংস্কারের অভাবে হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। এতে শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০টি অংশে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা আতঙ্কে দিন কাটছে গাইবান্ধা পৌরবাসীর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের শুরুর দিকে গাইবান্ধা শহর রক্ষায় প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রতিবছর নদীর পানি ফুঁসে উঠলেই বাঁধ হুমকির মুখে পড়ে। সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই বাঁধে ছিদ্র ও ধস শুরু হয়।

এবার বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের তিন কিলোমিটার অংশ সংস্কারের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজই শুরু হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত স্থান দিয়ে যেকোনো মুহূর্তে পানি প্রবেশ করে বাঁধের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সব স্থান। এছাড়া ঘাঘট নদীতে পানির চাপ বাড়লে বাঁধটির ধসে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি ঢুকে পৌরশহর তলিয়ে যেতে পারে।

ga-(2).jpg

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের কাজ বালু দিয়ে করা হয়েছে। স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার কোনো কথা শোনেনি। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেও কোনো কাজ হয়নি। এজন্য সামান্য বৃষ্টিতেই বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ধস দেখা দেয়। নদীতে পানি বাড়লে বাঁধ ধসে বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানান স্থানীয়রা।

পৌরশহরের সরকারপাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক মিয়া বলেন, ভাঙা বাঁধ দিয়ে হেঁটেই ভালোভাবে চলাফেরা করা যায় না। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাঁধের মাটি ধসে যায়। এ সময় আমাদের চলাফেরা করতে খুব কষ্ট হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।

বাঁধের পাশের বাসিন্দা আমজাদ আলী বলেন, বাঁধ নিয়ে আমরা ভয়ে থাকি। রাতারাতি নদীতে পানি বাড়লেই এ বাঁধ ধসে যেতে পারে। এমনকি বন্যার পানি বাড়লে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

সালমা বেগম নামের বাঁধের আরেক বাসিন্দা বলেন, সময় থাকতে বাঁধের কাজ করবে না। আমরা বন্যা আসার আগেই ডুবি। তারপর কয়েকটা বালুর বস্তা ফেলবে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের কিছু জায়গায় রেইনকার্ট হয়েছে। সেগুলো আমরা মেরামতের চেষ্টা করছি। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই ধসে যাওয়া অংশের মেরামত শেষ হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com