শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

‘বিচার বিলম্ব করতে আদালতে আসছেন না খালেদা জিয়া’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ বিলম্বিত করতে আইনজীবীদের পরামর্শেই খালেদা জিয়া জিয়া আদালতে হাজির হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এদিন বেলা ১১টা ২৪ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতেই খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তার আইনজীবী। এরপর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এদিন মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। একই সঙ্গে কারাগারে থাকা মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নির্দেশও ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে আসেননি। এর আগেও চারটি ধার্য তারিখে একই অবস্থা হয়েছে। তিনি অসুস্থতার কথা বলে আদালতে আসতে চান না। খালেদা জিয়া যেখানে আছেন, সেখান থেকে কিছু দূর হেঁটে গাড়িতে উঠতে হয়। কিন্তু ওইটুকু পথই তিনি হাটতে চান না বা হুইল চেয়ারে যেতে চান না। এ ছাড়া কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছেন তিনি আনফিট।

মোশাররফ হোসেন কাজল আরও বলেন, আমার বিজ্ঞ বন্ধুরা (খালেদা জিয়ার আইনজীবী) ঘনঘন তাঁর (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করে যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন, তিনি (খালেদা জিয়া) সেভাবেই চলছেন। মামলার বিচার কার্যক্রম যাতে এগিয়ে যেতে না পারে এজন্যই মূলত তিনি আইনজীবীদের পরামর্শে আদালতে আসছেন না। তিনি সম্মানিত মানুষ, তাই তাকে আদালতে আনতে জোর করাও যাচ্ছে না।

দুদক প্রসিকিউশনের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা কোনো প্রতিউত্তর দেননি। শুনানি শেষে আগামী ৬ জুন পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে ওইদিন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করেন।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. জাকির হোসেন ভূইয়া, আমিনুল ইসলাম, জিয়া উদ্দিন জিয়া, এম হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করা হয়। দুদকের করা ওই আবেদনের ওপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। ওই দিনও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির বিরোধীতা করেছিলেন। শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৩ মার্চ আদালত খালেদা জিয়াকে হাজিরের এ আদেশ দেন। এরপর গত ২৮ মার্চ, ৫ এপ্রিল ও ২২ এপ্রিল খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরের দিন ধার্য থাকলে কারা কর্তৃপক্ষ অনুস্থতার জন্য তাকে হাজির করেনি বলে আদালতকে জানায়। সর্বশেষ এ দিনও অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির করা হয়নি খালেদা জিয়াকে।

এরও আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সকল আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ৭ বছর কারাদ- দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলায় অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতাররি পরোয়ানা রয়েছে। আর অপর দুই আসামি জামিনে আছেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদ- এবং প্রত্যেকের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জারিমানা করে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। প্রথম শ্রেণীর কারাবন্দি হিসেবে বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com