বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

বাবার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান মেয়ে নাদিরা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮
  • ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, নাটোর প্রতিনিধি: মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ওরফে দেলচান, ১৯৭৫ সালে বাড়ি থেকে বের হন আর ফিরে আসেননি। ১৯৭১ সালে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন দেলচান। ৭ নং সেক্টরে সহযোদ্ধা আনছার আলীসহ অন্যদের সাথে নওগাঁর রানীনগরসহ বিভিন্ন স্থানে অংশ নেন। নাজিরপুর ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধা সহকর্মীদের সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা এই পরিবার আজ অসহায়। তার স্ত্রী চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা তারা পায় না। স্বামী ১৯৭৫ সালে মারা গেলে ও দেলচানের স্ত্রী পায়নি বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা। নেই এক খন্ড জমি। আত্রাই নদীর পাউবো ৫ শতক জায়গায় কোন রকম মাথা গোজার ঠাই হয়েছে। সেখানে বসবাস করেন দেলচানের স্ত্রী, একমাত্র মেয়ে নাদিরা এবং তাঁর ছেলে, ছেলে বউ ও দু’নাতি। দেলচানের একমাত্র মেয়ে নাদিরা বেগম। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর বিয়ে হয় মহিষমারি গ্রামে। স্বামী খলিল প্রাং, সেও দিনমজুর ছিলো। ৫ বছর আগে অসুস্থতায় মারা যায়। বাবা ও স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরার তাগিদে নাদিরা জীবিকার প্রয়োজনে দিনমজুরের কাজ করতে থাকেন। নাদিরার কপালেও জুটেনি সরকারী কোন ভাতা।

নাদিরার সংসারে ছিলো দু’ছেলে, একজন আলাদা। একমাত্র পরিবারের পুরুষ সদস্য নাদিরার ছেলে ইয়ারব, সে ভ্যান চালক। তাঁর উপার্জনে চলে পুরো সংসার। একদিকে বাবার অকালে চলে যাওয়া, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়া, অপরদিকে নিজের স্বামী মারা গিয়ে সর্বশান্ত এই পরিবার।

সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাইয়ে নাদিরার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ওরফে দেলচানের নাম চূড়ান্ত তালিকায় রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়নি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল ওদুদু দুদু জানান, তারা খুব অসহায় পরিবার। এ পরিবার কোন ভাতা পায় না, খুব দুঃখজনক। তবে চূড়ান্ত তালিকায় আব্দুর রহমান ওরফে দেলচান নাম রয়েছে তারা ভাতাভোগী হলে অন্তত তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চলবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বিপুল কুমার সরকার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com