সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে সরকার বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল যান চলাচল চুক্তিতে অগ্রগতি, খসড়া চূড়ান্ত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের সংঘর্ষ, বিএনপি নেতা গুলিবিদ্ধ লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেশের ১০টি ইকোনমিক জোন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার সাবেক মন্ত্রী তাজুলের সাড়ে ৯ একর জমি জব্দ, ২৮ কোটির সম্পদ অবরুদ্ধ ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড গত ১৬ বছর নববর্ষে দলীয় ও বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল: সারজিস বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা চায় এনবিআর দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেলেন মোসাদ্দেক আলী ফালু ২৩ এপ্রিল থেকে অনুমতি ছাড়া মক্কায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউক্রেনে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ফুলবাড়ীতে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে নারীর মৃত্যু বাংলাদেশি পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুনর্বহাল সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত: সেনাপ্রধান আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু সকাল ৯টায় শিল্পে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে বাড়লো ১০ টাকা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে অর্থায়ন করবে চীন ডিবিপ্রধানের পদ থেকে সরানো হলো রেজাউল করিমকে

বাংলাদেশে বসবাস করা বিদেশিরা আতঙ্কে আছেন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: গুলশানে জঙ্গি হামলায় একসঙ্গে ১৭ জন বিদেশি নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক কমছে না৷ ঢাকার জার্মান দূতাবাসে কর্মরত দুই জার্মান নাগরিক আর বাংলাদেশে ফিরবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. টোমাস প্রিনৎস বাংলাদেশের একটি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পহেলা জুলাইয়ের ঘটনার পর বিদেশিদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷ ‘‘আমার অন্তত দুই জন সহকর্মী গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যাওয়ার পর আর ফিরবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷

সব মিলিয়ে কতজন সহকর্মী আর ফিরবেন না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না৷ কারণ এখনও গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে৷ ছুটি শেষ হলেই জানা যাবে কতজন আসছেন না৷ যাঁদের শিশু সন্তান রয়েছে তাঁদের মধ্যে আতঙ্কটা আরো বেশি৷”

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত

হলি আর্টিজান বেকারিতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল নীপিন গঙ্গাধরের৷ বিদেশি এক বেসরকারি সংস্থার শীর্ষ পদে আছেন এই ভারতীয়৷ গুলশানে হামলার পর তাঁর বন্ধুমহলের অনেকেই এখন ঢাকায় নেই৷ কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘‘হামলার কথা জেনে প্রথমে স্তম্ভিত হয়েছি৷ ওটা একটা নিরাপদ জায়গা ছিল৷ আমরা প্রায়ই সেখানে যেতাম৷ ওখানকার রুটি আমার বাসার নিয়মিত খাবার ছিল৷ ওই হামলা বিদেশিদের শঙ্কিত করে তুলেছে৷ কারণ অনেকে ওই হামলার গোলাগুলির শব্দ নিজ কানে শুনেছে, কোনো পত্রিকা পড়ে বা টিভিতে দেখে নয়৷”

নীপিন গঙ্গাধর আরো জানান, সবাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন৷ তবে তাঁর বিদেশি বন্ধুরা আরো কিছুটা সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান৷ মূলত নিজেদের এবং তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা কাজ করছে বলে জানান তিনি৷

সতর্ক হয়ে চলাফেরা

বাংলাদেশে একটি ভারতীয় এয়ারলাইন্সের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন শ্রীলংকান নাগরিক জে এফ মার্জিয়া৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা সুন্দর দেশ৷ ২৫ বছর আগে এই দেশে এসে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম৷ এখনো ভালো লাগে৷ তবে সাম্প্রতিককালের ঘটনা খানিকটা উদ্বিগ্ন করেছে৷ এখন সতর্কভাবে চলাফেরা করি৷”

বাড়তি নিরাপত্তা

গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর কূটনৈতিক এলাকার বিদেশি নাগরিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ দূতাবাসগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ৷ নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে বিদেশিদের চলাফেরায়৷ তবে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘‘গুলশান এত জনবহুল যে এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছিদ্র করা সম্ভব নয়৷ কারণ অনেক মানুষ এখানে প্রতিদিন বাইরে থেকে আসেন৷”

তৈরি পোশাক খাত নিয়ে শঙ্কা

পরপর দুটি বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা বিপাকে ফেলেছে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি আয়ের উৎস তৈরি পোশাক খাতকে৷ এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওই ঘটনার পর ক্রেতারা বাংলাদেশে আসতে চাইছেন না৷ পোশাক খাতে কমর্রত বেশ কিছু বিদেশি নাগরিক নিজ দেশে ফিরে গেছেন৷ নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক ক্রেতা সাময়িকভাবে আসতে চাইছেন না৷ অনেকে তৃতীয় কোনো দেশে গিয়ে বৈঠক করতেও অনুরোধ করছেন৷

এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে কোনো ক্রয়-আদেশ এখনো বাতিল হয়নি৷ কোনো বিদেশি কোম্পানির ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তও জানা যায়নি৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে কার্যাদেশ (অর্ডার) কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আশঙ্কা করছি যারা বেশি অর্ডার দিত তারা কমিয়ে দিতে পারে৷ গ্রীষ্মকালীন ক্রয়াদেশের জন্য আমাদের জুলাই থেকে নেগোসিয়েশন শুরু হয়৷ আল্লাহ না করুক এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে আশঙ্কা তখন অ্যাবসলিউট হয়ে যাবে৷”

ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘অনেক গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের বদলে দিল্লি, ব্যাংকক ও হংকংয়ে সভা করার প্রস্তাব দিয়েছে৷ এছাড়া নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ৷”

তবে ২৮টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের জোট ‘আল্যায়েন্স’ বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয় অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে৷ অন্যদিকে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট ‘অ্যাকর্ড’ বাংলাদেশে কর্মরত ইউরোপীয় কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে৷

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: ডয়চে ভেলে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com